কাদের মশা বেশি কামড়ায়? ডেঙ্গি থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকুন

কলকাতা: মশার উপদ্রব এবং তার সঙ্গে বিভিন্ন রোগের বাড়বাড়ন্ত নতুন কিছু নয়। বছরের পর বছর প্রায় এক জিনিসে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি। প্রতিবার একাধিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা হলেও শেষমেষ পরিস্থিতি একই থাকে। এবারও তার কোনও ব্যতিক্রম নেই। চলতি বছরও ডেঙ্গির প্রকোপে জেরবার মানুষ। ইতিমধ্যে একাধিকজনের মৃত্যুর খবরও এসেছে। তাই স্পষ্ট করে বলাই যায়, রোগ থেকে বাঁচতে গেলে রোগের কারণ থেকে বাঁচতে হবে। এক্ষেত্রে তাই জানতে হবে মশা কাদের মূলত বেশি কামড়ায়।
বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে মশা কামড়ালেই মনে হয় ডেঙ্গি হবে। কিন্তু আদতে বিষয়টি তেমন না হলেও সচেতন থাকতে ক্ষতি কী? এই জায়গা থেকেই একটা বিষয় মাথায় আসে যে, অনেককে বেশি মশা কামড়ায় এবং কাউকে অনেক কম। এর কারণ জেনে গেলেই কিছুটা মুশকিল আসান হতে পারে। মশা কম-বেশি কামড়ানোর কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। সেগুলি মাথায় রাখলেই মশা থেকে অনেকটা দূরে থাকা যায়। তবে কিছু বিষয় আছে তা আপনার হাতে নেই। তাই অতিরিক্ত সচেতন হয়ে মশা কামড়ানো থেকে দূরে থাকতে হবে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ঘামের সঙ্গে নিঃসৃত ল্যাকটিক অ্যাসিড ও অ্যামোনিয়ার গন্ধ মশাদের বেশ প্রিয়। অর্থাৎ যাদের বেশি ঘাম হয়, তাদের পারতপক্ষে মশা বেশি কামড়ায়। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদেরও তুলনায় বেশি মশা কামড়ায় কারণ ওই সময়ে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। সেটা মশাকে বেশি আকৃষ্ট করে। পাশাপাশি কিছু নির্দিষ্ট রক্তের গ্রুপের মানুষকেও মশা বেশি কামড়ায়। যেমন ‘ও’ গ্রুপের রক্ত। এগুলি এমন বিষয় যাতে আপনার হাত থাকবে না। শুধু সচেতন থাকতে হবে। কিন্তু এমনও কারণ আছে যা চাইলেই আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
দেখা গিয়েছে, গাঢ় কোনও রং মশাদের আকর্ষণ করে। তাই যে সময়ে মশা বা ডেঙ্গির উপদ্রব বেশি, তেমন সময়ে এই ধরনের রঙের পোশাক ব্যবহার করার আগে ভাবতে হবে। অন্যদিকে, যারা বিয়ার জাতীয় অ্যালকোহল পান করেন এবং যাদের শরীরের তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে বেশি ঘাম নির্গত হয়, তাদের প্রতিও মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।