নয়াদিল্লি: ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণে এখনো লাগাম টানা সম্ভব হয়নি। এদিকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা প্রবল হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। একাধিক করোনাভাইরাস প্রজাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিশ্বজুড়ে। দৈনিক আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা একদিন কমে তো দুদিন বাড়ে। সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন যে এই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে। সেই প্রসঙ্গেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ দেখিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হলেও যে কেন ভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, মূলত চারটি কারণে বিশ্বের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমছে না। এর মধ্যে সবথেকে চিন্তার বিষয় হল ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধি। এর পরে রয়েছে মানুষের ও সচেতন মনোভাব এবং সামাজিকভাবে মিলে মিশে যাওয়া আগের মত। তিনি আরো জানাচ্ছেন, বিশ্বের একাধিক দেশে লকডাউন সিদ্ধান্ত শিথিল করে দেওয়া এবং সর্বশেষে টিকাকরণের গতি কমে যাওয়া করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রধাণত, এই চারটি কারণের জন্যই গোটা বিশ্বের ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এর পাশাপাশি ভাইরাসের একাধিক প্রজাতির যেভাবে বৃদ্ধি ঘটছে তাতেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী। তিনি জানাচ্ছেন, ছ’টি অঞ্চলের মধ্যে পাঁচটি অঞ্চলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে ‘ডেল্টা’ নিয়ে তাঁর দাবি, আগে এক জন আক্রান্ত আরও তিন জনকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রাখত। কিন্তু ডেল্টা প্রজাতিতে এক জন আক্রান্ত আরও আট জনকে আক্রান্ত করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন- ভারত সরকারের কৌঁসুলি পরিচয়ে প্রতারণা সনাতনের, BJP-কে চিঠি কলকাতা পুলিশের
ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে যে, ‘ডেল্টা’ হল সবথেকে সংক্রামক প্রজাতি করোনা ভাইরাসের। পৃথিবীর একাধিক দেশে এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েছে এবং তৃতীয় ঢেউ নাকি এই প্রজাতির জন্যই আসবে। তবে এখন আবার সকলের চিন্তা বাড়াল এই ‘কাপ্পা’, তার সঙ্গে রয়েছে করোনা অন্য এক প্রজাতি, ‘ল্যামডা’। মনে করা হচ্ছে, ‘ল্যামডা’ই হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সক্রিয় করোনার অন্য প্রজাতিদের তুলনায়।