নয়াদিল্লি: ‘কোভাক্স’ গ্লোবাল ভ্যাকসিন বরাদ্দ পরিকল্পনায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক শীর্ষ উপদেষ্টা ব্রুস আয়েলওয়ার্ড জেনেভায় এক বিবৃতিতে বলেন, “কোভ্যাক্স”এর সুবিধা প্রদাণের অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতও অবশ্যই যোগ্যতাসম্পন্ন। ভ্যাকসিন সম্পর্কে ভারতের অভিজ্ঞতা উল্লেখ যোগ্ৎ তাই ভারতের অংশগ্রহণকে তাঁরা স্বাগত জানাবেন বলেও জানিয়েছেন অ্যালওয়ার্ড।
‘কোভ্যাক্স’ পরিকল্পনায় নেতৃত্ব দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লুএইচও) এবং গ্যাভি (জিএভিআই) ভ্যাকসিন জুটি, যার লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে মোটামুটি করোনার ভ্যাকসিন ক্রয় এবং বিতরণে সহায়তা করা।যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েকটি দেশ যারা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই নিজের সরবরাহ সুরক্ষিত করেছে। ফলে তারা এই পরিকল্পনার অংশীদার হবেনা বলেই জানিয়েছে। গ্যাভি'র ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে যে এই পরিকল্পনা তার মূল অংশীদার, ডাব্লুএইচও, ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক এবং বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এই ভ্যাকসিন জোট জিএভিআই-যোগ্যতাসম্প সমস্ত দেশগুলিকে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। দেশগুলির স্বাস্থ্য পরিষেবায় নিযুক্ত সেবা কর্মীদের সুরক্ষা, বিশেষ তদারকি ও প্রশিক্ষণ প্রদান এবং টেস্টিং এর প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম কেনার জন্য সক্ষম করে তুলছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন গত মাসেই আত্মবিশ্বাসের সুরে বলেছিলেন যে ভারতের প্রথম কোভিড ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষের মধ্যেই পাওয়া যাবে।