জেনেভা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বাগে আনতে টিকাকরণে জোর দিয়েছে বিশ্ব। ইতিমধ্যেই যে’কটি ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে প্রত্যেকটি দুটি ডোজের। যদিও বিজ্ঞানীদের একাংশ দাবি করেছে যে, মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গেলে দুটি টিকা নেওয়ার পর একটি বুস্টার ডোজ জরুরী। কিন্তু এ ব্যাপারে সম্মতি জানাচ্ছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের দাবি, এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকরী হবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এর থেকে দুটি আলাদা সংস্থার টিকা নিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি বাড়বে বলে মনে করছে তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানাচ্ছেন, দুটি টিকা নেওয়ার পর যে বুস্টার টিকার কথা বলা হচ্ছে সেটি আদৌ কতটা কার্যকরী তা এখনও স্পষ্ট ভাবে নির্ধারিত হয়নি। তবে এর থেকে হয়তো বেশি উপকার দিতে পারে দুটি আলাদা সংস্থার টিকা। কেউ যদি দুটি ভিন্ন সংস্থার টিকা নেন তাহলে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি বাড়বে বলে মত তাঁর। তিনি আরো জানাচ্ছেন, এখনো পর্যন্ত বিশ্বের একাধিক মানুষ করোনাভাইরাস দ্বিতীয় টিকা পাননি। ঠিক কবে তারা টিকা পাবেন সেটা এখনও পরিষ্কার নয় তাই এর মধ্যে তৃতীয় টিকা বা বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা শ্রেয় নয়। সেই টিকা আদৌ কাজে দেবে কিনা সে ব্যাপারে যথেষ্ট গবেষণা প্রয়োজন। তাই আপাতত দুটি ভিন্ন সংস্থার টিকা দেওয়া হলে কতটা প্রভাব পড়ছে সে ব্যাপারে আরো চর্চা দরকার, এমনটাই মনে করছেন তিনি। প্রসঙ্গত, নাগরিকদের দুটি টিকা দেওয়ার পর বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা ভাবনা চিন্তা করছে ব্রিটেন। এই পরিস্থিতিতে এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এমন বিবৃতি প্রশ্ন চিহ্ন জুড়ে দিল।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশে দুটি ভিন্ন সংস্থার করোনাভাইরাস টিকা দেওয়া হয়েছে, যা কার্যকরী হয়েছে বলেই ধারণা। এই সব দেশে ফাইজারের সঙ্গে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, দুটি আলাদা সংস্থার টিকা দিয়ে সেখানকার মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি হবে বলেই ধারণা।