নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি দেশবাসীকে যে আর কী কী দেখাবে তার ইঙ্গিত এখনো মিলছে না। করোনা ভাইরাস সংক্রমণেই দিশেহারা দেশের মানুষ, তার মধ্যে অক্সিজেন এবং ওষুধের আকাল। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়ছে। এরই মধ্যে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে দেশে। তাই নিয়ে ব্যাপক আতঙ্ক। এবার এরই মাঝে আবার ধরা পড়ল হোয়াইট ফাঙ্গাস সংক্রমণ! ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন বিহারের চার জন।
ইতিমধ্যেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিসকে মহামারী ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি পাঠিয়েছে মহামারী ঘোষণা করার জন্য। এর পাশাপাশি প্রত্যেক রাজ্য থেকে এই রোগের তথ্য সংগ্রহ করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে ধরা পড়ল হোয়াইট ফাঙ্গাস। বিহারে ৪ জন এই ছত্রাকে সংক্রমিত হয়েছেন। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চেয়েও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে এটি! জানা গিয়েছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ শুধুমাত্র মুখের আশপাশের অঙ্গগুলিতেই হয়। কিন্তু হোয়াইট ফাঙ্গাস খুব দ্রুত অন্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। ফুসফুস, যকৃৎ, বৃক্ক, যৌনাঙ্গ— সমস্ত অঙ্গই অত্যন্ত দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে এই ভাইরাসে। মূলত নখের মাধ্যমে ছড়ায় এটি এবং গর্ভবতী মহিলা এবং শিশুদের বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার অত্যন্ত বেশি। হোয়াইট ফাঙ্গাসের সংক্রমণে মৃত্যুর হার সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কোনও ধারণা নেই। এমনকি যাদের করোনার যাবতীয় উপসর্গ রয়েছে তাদের পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা না পড়ার পিছনে এই ফাঙ্গাস আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এখনো পর্যন্ত ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্রের বাসিন্দারা। সেখানে আজ সকাল পর্যন্ত কমপক্ষে ১,৫০০ জন আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ৯০ জন মারা গিয়েছে। এর আগে রাজস্থান প্রশাসন এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করেছিল। তেলেঙ্গানা সরকারও ইতিমধ্যেই এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করেছে।