করোনা মুক্তির কতদিন পর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত? মিলল ইঙ্গিত

করোনা মুক্তির কতদিন পর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত? মিলল ইঙ্গিত

নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য ভ্যাকসিন অত্যন্ত জরুরী বলেই দাবি করেছে বিশ্বের বৈজ্ঞানিক মহল। সেই প্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের সবাইকে যথাসময়ে ভ্যাকসিন নেওয়ার আহ্বান পর্যন্ত জানানো হয়েছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন এখন সকলেরই মনে যে যারা ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন, তাদের কবে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দেওয়া উচিত বা আদৌ নেওয়া যেতে পারে কিনা। এই ব্যাপারে এবার একটা ইঙ্গিত করল। সরকারি প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার কমপক্ষে ছয় মাস পর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত।

সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ওই সরকারি প্যানেল মনে করছে যারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে সদ্য সুস্থ হয়েছেন তাদের কমপক্ষে ছয় মাস পর ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এই একই সরকারি প্যানেল জানাচ্ছে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে দুই ডোজের ব্যবধান ১২-১৬ সপ্তাহ করা উচিত এবং কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে তার ব্যবধান থাকা উচিত ৪ সপ্তাহ। এদিকে আরো একটা ব্যাপার সকলের সামনে এসেছে যে অনেকেই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় ডোজ কবে নেওয়া যেতে পারে সেই ব্যাপারে এই সরকারই প্যানেল বলেছে, ভাইরাস মুক্ত হওয়ার কমপক্ষে ৪ থেকে ৮ সপ্তাহ কাটিয়ে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া উচিত। অন্যদিকে, অন্তঃসত্ত্বাদের ক্ষেত্রেও ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত এবং তাতে কোনো ক্ষতি হয় না বলে সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে। 

উল্লেখ করা হয়েছে, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের ‘প্লাসেন্টা’য় কোন ক্ষতি হয় না। গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে এই অঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ব্যাপারটিকে আরও সহজভাবে বলতে গেলে, ‘প্লাসেন্টা’ হল বিমানের ব্ল্যাক বক্সের মত। গর্ভবতী মহিলাদের কোন রকম শারীরিক সমস্যার সম্মুখীন হতে গেলে দেখা যায় ‘প্লাসেন্টা’ সাহায্য করে কী হয়েছে সেটা বোঝানোর জন্য। সেই প্রেক্ষিতেই দেখা গিয়েছে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন এই অঙ্গের কোনরকম ক্ষতি করে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − five =