কলকাতা: ২০১৯ সালের শেষের দিক থেকে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বে। দেখতে দেখতে ২ বছর পার হয়ে গেলেও সংক্রমণের ত্রাস যায়নি এখনও। দ্বিতীয়, তৃতীয় ঢেউয়ের পর এখন চতুর্থ ঢেউ নিয়ে শঙ্কা। অনেক দেশ করোনা বিধি শিথিল করলেও ভাইরাসের নিত্য নতুন প্রজাতি নিয়ে যে আশঙ্কা তৈরি হয়ে আছে সেটা অনস্বীকার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই বলেছে যে, আগামী দিনে আরও অনেক করোনা প্রজাতি আসতে পারে। ওমিক্রনের পর তা আসছেও। কিন্তু আগামী ৫ বছর বা তার পর কী হবে করোনার? সেই ইঙ্গিত দিয়ে রাখছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- শূকরের হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপন হয়েছিল, ২ মাস পর মৃত্যু ব্যক্তির
পৃথিবীতে করোনা থেকে যাবে। হ্যাঁ, এটাই সবথেকে বড় সত্যি। ভাইরাস একেবারে যে মুছে যাবে না তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী অবস্থায় তা থাকবে সেটাই বড় কথা। আমেরিকার ‘ফ্রেড হাচিনশন ক্যানসার রিসার্চ সেন্টার’ দাবি করেছে, করোনা এন্ডেমিক পর্যায়ে ঢুকে পড়লেও তা নিয়ে কিছুটা চিন্তা আগামী দিনেও থাকবে। কারণ করোনার নতুন নতুন রূপ বারবার ফিরে আসতে পারে। সময় বিশেষে তা কতটা শক্তিশালী হবে কী হবে না, সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়, তাই সকলকে সতর্ক তো থাকতেই হবে। তারা আরও বলছে, কোনও জীবাণুর নতুন নতুন রূপ অনেকাংশে আগের তুলনায় শক্তিশালী হয়। তাই এক্ষেত্রে একেবারে হাফ ছেড়ে বাঁচার কোনও উপক্রম নেই।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে তিনটি সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। এক, সংক্রমণের ভয় থাকলেও এতদিনে টিকা নেওয়ার ফলে এবং আক্রান্ত হওয়ার জন্য যে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়েছে মানব শরীরে তা তাকে ঠেকিয়ে দেবে। তাই করোনা থাকলেও তা নিয়ে মাথাব্যাথা থাকবে না। দুই, টিকা নেওয়া বা আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও নতুন রূপের করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করল আবার। প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ফের নয়া টিকার অপেক্ষা করতে হল। আর তিনি, যা ‘হু’-র মতে সবথেকে বেশি সম্ভাবনা, টিকা এবং সংক্রমণ থেকে পাওয়া রোগ প্রতিরোধ শক্তির কারণে করোনা অন্য রূপ কোনও প্রভাবই খাটাতে পারল না। অর্থাৎ করোনা থাকলেও স্বাভাবিক জীবন শুরু।