কলকাতা: করোনা ভাইরাস আতঙ্ক এখন কমেনি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলছে যে ভয়ের কারণ এখনও থেকে গিয়েছে, মহামারি চলে যায়নি। এই উদ্বেগের মাঝেই বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ‘মাঙ্কিপক্স’। নয়া এই ভাইরাসের কারণে মানুষের মধ্যে নতুন করে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এখনও এটা পরিষ্কার নয় যে, এই ভাইরাস এল কোথা থেকে? কেউ কেউ বলছেন, করোনা ভাইরাস এর জন্য দায়ি, আবার কারোর মতে, ভ্যাকসিনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলেই এই অবস্থা। তবে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?
আরও পড়ুন- ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদ থেকে এখন সিধুর পরিচয় কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রথম থেকেই বলেছিল যে, ‘মাঙ্কিপক্স’ একটি প্রাণী বাহিত রোগ। এরপর থেকেই অনেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিনকে দায়ি করতে শুরু করেছে কারণ এই টিকা তৈরি হয়েছে শিম্পাঞ্জির অ্যান্টিবডি থেকে। তবে বিজ্ঞানীদের দাবি, মাঙ্কিপক্সের ভাইরাসের জন্য যে প্রজাতির শিম্পাঞ্জি দায়ি, সেই প্রজাতির অ্যান্টিবডি এই ভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়নি। অন্যদিকে আবার অনেকে দাবি করেছেন যে, এই ভাইরাস গবেষণাগারে তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম ভাবে। তবে বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, এই ধারণা একেবারেই ভুল। এই ভাইরাস পরীক্ষা করে এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভাইরাসের ডিএনএ-র জিনোম সিকোয়েন্সিং থেকে বোঝা যায় যে, এটি ল্যাবে তৈরি করা সম্ভব নয়।
যদিও গবেষণা বলছে, এই রোগে মৃত্যুর আশঙ্কা কম। এতদিনে যাদের সংক্রমিত হওয়ার খবর এসেছে তাদের কারোর মৃত্যু হয়নি। আবার অনেকের উপসর্গ মৃদু। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এই রোগ অতটাও ভয়ঙ্কর নয়। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই এই ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে যাতে ‘মাঙ্কিপক্স’ কখনই ভয়ানক আকার ধারণ করতে না পারে।