মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করছে? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

কলকাতা: উৎসব মানেই সেখানে মিষ্টিমুখ। আর বর্তমানে উৎসবের মরশুম চলছে। সদ্যই গিয়েছে বাঙালিদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। আর তারপরই লক্ষ্মী পুজো। এখন চলেছে দীপাবলি। তারপর ভাইফোঁটা। সেখানে মিষ্টি থাকবে না, তা সম্ভব নয়। কিন্তু মিষ্টি সকলের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নয়। যদিও অত্যধিক মিষ্টি খাওয়া কারও শরীরের পক্ষেই ভালো নয়। তাই বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু মিষ্টি খাওয়ার কথা বলছেন, যেগুলো খেলে মিষ্টিমুখ হবে এবং স্বাস্থ্যও ঠিক থাকবে।

উৎসবের দিনে দোকানের মিষ্টি কিনে এনে খাওয়ার থেকে বাড়িতেই মিষ্টি তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকি কোন কোন মিষ্টি বাড়িতে তৈরি করলে, তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হবে না, তারও পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। 

বাড়িতে দুধের মিষ্টি তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনিতেই দুধ দিয়ে শ্রীখন্ড, সন্দেশ, মিষ্টি দই, ক্ষীরের মতো মিষ্টি হামেশাই হয়৷ উৎসবের দিনেও সুস্থ থাকতে এগুলোই বানানোর কথা বলেছেন তাঁরা৷

মিষ্টি বানাতে চিনির পরিবর্তে ডারুচিনি, খেজুর, কিশমিশ এবং টাটকা ফলের মতো ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। গুড় এবং মধুও মিষ্টিতে ব্যবহার করা যেতে পারে৷ এতে শরীর সুস্থ থাকবে৷

বাজার চলতি কোনও সফট ড্রিঙ্কসের পরিবর্তে বাড়িতে মিল্কশেক বানিয়ে পান করতে বলছেন তাঁরা৷ 

বাদামে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই উপকারী মিষ্টি হিসেবে বাদামকাটলি বানানো যেতে পারে। এছাড়াও বেসনের লাড্ডু, বাদামের লাড্ডু, নারকেল নাড়ু, গাজরের হালুয়া, মুগ ডালের লাড্ডু, পায়েস এগুলোও বানানো যেতে পারে৷

আপেলের ক্ষীর কিংবা আখরোটের লাড্ডু বানানো যেতে পারে৷ এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।

প্রতিটা খাবারের সঙ্গে স্যালাড রাখা বাধ্যতামূলক। কারণ স্যালাড হজমের জন্য খুবই উপকারী বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *