নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর এখন ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগ করছে যে দেশে ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে একাধিকবার টিকাকরণ নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাড়ানো হয়েছে দুটি টিকার ডোজের মধ্যের ব্যবধান। যা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে। এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হল, করোনাভাইরাস আক্রান্তরা যারা সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, তারা করোনাভাইরাস টিকা নিতে পারবেন সুস্থ হওয়ার ৩ মাস পর।
কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র প্রথমবার টিকা নেওয়ার জন্য নয়। যারা প্রথম টিকার ডোজ পাওয়ার পর করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরকেও সুস্থ হওয়ার পর তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য। এমনকি করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে যাদের প্লাজমা থেরাপি করা হয়েছে তাদের টিকা দেওয়ার সময়সীমা তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনার টিকাকরণের জন্য ‘ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপ অন ভ্যাকসিন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ফর কোভি়ড-১৯’ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সুপারিশগুলো করেছিল। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস চিকিৎসা থেকে প্লাজমা থেরাপিকে বাদ দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের গঠিত টাস্ক ফোর্স। যে তথ্য সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে এই প্লাজমা থেরাপি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এবং তার জেরে মৃত্যু ঠেকাতে খুব একটা কার্যকরী নয়।
অন্যদিকে, আগেই কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যের ব্যবধান ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হচ্ছে। আগে যেটা ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ। টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর থেকেই দাবি করা হচ্ছিল যে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে বেশি ব্যবধানে রাখলেই তা সব থেকে বেশি কার্যকরী। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে মনে করা হচ্ছে যে কেন্দ্রীয় সরকার এই সিদ্ধান্ত পরিকল্পনা করে নিয়েছে কারণ এই মুহূর্তে দেশে ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে। সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার কাজ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।