দুই ধরনের জিনগত রূপান্তর করোনার! চিহ্নিত বাংলাতেই, আতঙ্ক

ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন বেলেঘাটা আইডি এবং আইআইসিই'র গবেষকরা।

কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এখনো ইতিবাচক হয়নি গোটা দেশে। এরইমধ্যে ব্রিটেন থেকে নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলেছে। সেই সংক্রমণ ইতিমধ্যেই একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং ভারত তথা এ রাজ্যেও ঢুকেছে এমন আন্দাজ করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে উঠে এলো। এ রাজ্যেই দুই ধরনের জিনগত রূপান্তর হয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাসের! ইতিমধ্যেই এই বিষয়টি চিহ্নিত করেছেন বেলেঘাটা আইডি এবং আইআইসিই’র গবেষকরা।

গবেষকরা যেটা জানাচ্ছেন তা হল, যে দুই ধরনের জিনগত রূপান্তর ঘটেছে করোনাভাইরাসের তার মধ্যে একটির প্রভাব বেশি হয় অন্ত্রে, অন্যটির বেশি প্রভাব পড়ে ফুসফুসে। তবে তারা স্পষ্ট করেছেন যে এটি কোনো নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস নয়, দুটি ভিন্ন জিনগত রূপান্তর। যদিও তৃতীয় এক ধরনের রূপান্তরের আশঙ্কা করা হচ্ছে এখন, সে ব্যাপারে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসক এবং গবেষকরা। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক সপ্তাহের যে কজন রোগী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের একেকজনের একেকরকম অঙ্গে প্রভাব পড়েছে। সেই ব্যাপার চিহ্নিত করে গবেষণা শুরু করেন চিকিৎসকরা। পরবর্তী ক্ষেত্রে তারা এই বিষয়ে অবগত হন যে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের দুই ধরনের জিনগত রূপান্তর ঘটেছে। এই কারণেই কারোর অন্ত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, কারুর ফুসফুসে। তবে যে জিনগত রূপান্তরের ব্যাপারটি ইতিমধ্যেই চিকিৎসকরা ধরে ফেলেছেন তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই নিয়ে গবেষণার কাজ শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসকরা। মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে দেশে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন তৈরিতে এই গবেষণা বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। 

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। তবে দিনপ্রতি মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগ রয়ে গিয়েছে বঙ্গের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রবিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৩৫ জন। সেখানে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা ১ হাজার ৭৪০। ফলে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৪৩। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ০৭১ জন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *