করোনা প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে হলুদের? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?

হলুদের গুণাগুণ প্রচুর। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মনে করা হচ্ছে করোনা প্রতিরোধেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে, করোনা ভাইরাস নিরাময়ে এই শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল উপাদানের কার্যকারিতা প্রমাণ করার জন্য এখনও অনেক গবেষণা প্রয়োজন। কিন্তু হলুদ যে রোগ প্রতিরোধ কষমতা বাড়ায়, তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই একমত।

 

হলুদের গুণাগুণ প্রচুর। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হলুদের শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মনে করা হচ্ছে করোনা প্রতিরোধেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তবে, করোনা ভাইরাস নিরাময়ে এই শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাল উপাদানের কার্যকারিতা প্রমাণ করার জন্য এখনও অনেক গবেষণা প্রয়োজন। কিন্তু হলুদ যে রোগ প্রতিরোধ কষমতা বাড়ায়, তা নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞই একমত।

ভারতে ধর্মীয় রীতিনীতিতে হলুদের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া রান্নাতেও মশলা হিসাবে ব্যবহার করা হয় হলুদ। আমাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুগে যুগে এই মশলাটি অনাক্রম্যতা বৃদ্ধিকারী হিসাবে এবং এর স্বাস্থ্য সমৃদ্ধকারী বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। মারাত্মক করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এটি ওষুধ হিসেবেও প্রযোজ্য হতে পারে। এত কিছুর মাঝে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে হলুদে প্রাকৃতিক উপাদান কারকিউমিনের উপস্থিতি ভাইরাস নির্মূল করতে সহায়তা করতে পারে।

জার্নাল অব জেনারেল ভাইরোলজিতে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী যে কারকুমিন ট্রান্সমিসিবল গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিস ভাইরাস (একটি আলফা গ্রুপের করোনা ভাইরাস যা শূকরকে সংক্রামিত করে) নষ্ট করতে পারে। এই নির্দিষ্ট ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিশেষ ধরনের ডায়রিয়া হতে পারে। এর ফলে মারাত্মক ডিহাইড্রেশন হয় এবং রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। বিশ্বব্যাপী শূকর ব্যবসার ক্ষেত্রে এই ভাইরাস মুশকিলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারকিউমিনের সম্ভাব্য অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্যগুলি এই ভাইরাস সংক্রামিত হওয়া থেকে আটকায়।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কারকিউমিন ট্রান্সমিসিবল গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিস ভাইরাসকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করে। কোষকে এই ভাইরাস সংক্রামিত করার আগে ভাইরাসকে নষ্ট করে এই উপাদান। এছাড়া ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কোষের মেটাবলিজমকেও নিয়ন্ত্রণ করে এই উপাদান। বায়োঞ্জিনিয়ারিংয়ের ইউহান ইনস্টিটিউটের গবেষক ডঃ লিলান জাই বলেছেন, কারকিউমিন ট্রান্সমিসিবল গ্যাস্ট্রোএন্টারটাইটিস ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কারকিউমিনকে ডেঙ্গু ভাইরাস, হেপাটাইটিস বি এবং জিকা ভাইরাস সহ বেশ কিছু ভাইরাসের প্রতিলিপি প্রতিরোধ করতে পারে। এই যৌগে এন্টিটিউমার, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সহ বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জৈবিক প্রভাব রয়েছে। ডাঃ জাইয়ের মতে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কম থাকার কারণে কারকিউমিন করোনার এষুধ বা প্রতিষেধক সম্পর্কিত গবেষণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। যদিও এখনই এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসেননি বিশেষজ্ঞরা। তবে হলুদ করোনা প্রতিরোধে দিশা দেখাচ্ছে বলেই মনে করছে অভিজ্ঞমহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

11 − eight =