লন্ডন: করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা দিন দিন বাড়ছে। ডেল্টার থেকেও এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল বিশেষজ্ঞরা। এমনকি টিকা নেওয়া থাকলেও এই প্রজাতি কাউকে কাবু করতে সক্ষম সেটার ইঙ্গিতও মিলেছিল। ইতিমধ্যেই ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে একাধিক উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে যা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে সেটি সাধারণ জ্বরের থেকে আলাদা। অনেকাংশে উপসর্গ একই রকম হলেও কিছু উপসর্গ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক থাকতে বলছেন বেশি করে। উপসর্গগুলি এড়িয়ে গেলেই বাড়বে বিপদ।
লন্ডনের কিংস কলেজের জেনেটিক এপিডেমিওলজির প্রফেসর টিম স্পেকটর জানাচ্ছেন, সাধারণ করোনা উপসর্গের মতোই এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে যা দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তদের মধ্যে। সেগুলির মধ্যে আছে ক্লান্তি, শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো কিছু। তবে এর বাইরেও এমন কিছু উপসর্গ রয়েছে যা আগে থেকে নোটিশ না করলে পরে বাড়াবাড়ি সমস্যা হয়ে যেতে পারে। সেগুলি হল গলা খুশখুশ এবং ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা এবং নাক দিয়ে ক্রমাগত জল পড়া। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই অল্পবিস্তর ব্যথা অনুভব করা যাবে বলে জানান হচ্ছে। পরে এর থেকেই পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে। আগে জানা গিয়েছিল, সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের শরীরে ওমিক্রনের মূলত ৮ টি উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল: মাথা যন্ত্রণা, কাশি, সর্দি, ক্লান্তি, গলা যন্ত্রণা, জ্বর, পেশী যন্ত্রণা, কনুই, হাঁটু, কোমরে যন্ত্রণা।
আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে যে, ওমিক্রনকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই৷ সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে৷ বলা হয়েছিল, ডেল্টা আক্রান্তদের তুলনায় ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকি অনেকটাই কম। তার মানে এটি ওমিক্রন কম বিপজ্জনক সেটা ভাবা ঠিক নয়। ওমিক্রন সাধারণ ঠান্ডা লাগা নয়৷ এটাও ভয়ঙ্কর৷ এর মারণ ক্ষমতাও রয়েছে৷ ওমিক্রম সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়েছে৷