নয়াদিল্লি: সম্প্রতি রয়টার্স তাদের এক রিপোর্ট প্রকাশ করে উল্লেখ করেছে যে আগামী অক্টোবর মাসে ভারতে করোনা ভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। কিন্তু এইমস আশঙ্কা করছে, তারও আগে দেশে আছড়ে পড়বে ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ। আগামী ২-৩ মাসের মধ্যেই এর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন, দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আঘাত অনিবার্য, এবং তা অনেক আগেই আসবে।
তৃতীয় ঢেউ যে কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না তা হলফ করে বলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে যে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব তা জানিয়েছেন এইমস প্রধান। তাঁর বক্তব্য, তৃতীয় ঢেউ আসার আগে সংক্রমণের ‘হটস্পট’গুলি চিহ্নিত করে কোভিড পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, এবং সাধারণ মানুষকে আগের মতই সতর্ক থাকতে হবে। বিগত কয়েক দিন ধরেই দেশের একাধিক রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি হয়েছে যা এখন একটু হলেই শিথিল। এদিকে, দৈনিক সংক্রমণ আগের তুলনায় কমতে থাকায় আশার আলো দেখছে দেশ। তবে সমস্যা যে এখানেই তা মনে করিয়ে দিচ্ছেন এইমস প্রধান। বলছেন, এই সময়ে অসতর্ক হলেই বিপদ। যদিও তিনি এও জানাচ্ছেন, টিকাকরণ ও প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলেই তৃতীয় ঢেউয়ের তীব্রতা কিছুটা কমবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরেই আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ! চলবে এক বছর
রয়টার্সের দাবি ছিল, ভারতের ৪০ জন চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং বিজ্ঞানীদের মতামত নিয়ে তারা জানতে পেরেছে যে আগামী অক্টোবর মাসেই ভারতে শুরু হয়ে যেতে পারে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ, যা চলতে পারে আগামী এক বছর ধরে। তবে আশার ব্যাপার এই যে, করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের মতো তৃতীয় ঢেউ এতটা প্রভাবশালী এবং ভয়ঙ্কর হবে না। যদিও শিশুদের নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে কারণ তাদের একমাত্র টিকাকরণ বাকি রয়েছে। এর আগে দেশের চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক মহল দাবি করেছিল যে টিকাকরণ দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করা গেলে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ থেকে অনেকটাই মুক্তি মিলবে।