বিশ্বে মাত্র ৪৩ জনের শরীরে রয়েছে ‘সোনার রক্ত’! আপনি কি তাদের একজন?

বিশ্ব তোলপাড় করে গত ৫৭ বছরে মাত্র ৪৩ জনকে পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের রক্ত এই গ্রুপের। সেদিক থেকে দেখলে এই ব্লাড গ্রুপকে বিরলতম বলা যায়ই। এই ব্লাড গ্রুপের পোশাকি নাম ‘গোল্ডেন ব্লাড’। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সাধারণ রক্তে ব্লাড সেলগুলিতে ৩৪২টি অ্যান্টিজেন থেকে, যাদের কম্বিনেশনই নির্ধারণ করে সেই রক্তের গ্রুপ কী হবে। ১৯৬১

বিশ্বে মাত্র ৪৩ জনের শরীরে রয়েছে ‘সোনার রক্ত’! আপনি কি তাদের একজন?

বিশ্ব তোলপাড় করে গত ৫৭ বছরে মাত্র ৪৩ জনকে পাওয়া গিয়েছে, যাঁদের রক্ত এই গ্রুপের। সেদিক থেকে দেখলে এই ব্লাড গ্রুপকে বিরলতম বলা যায়ই। এই ব্লাড গ্রুপের পোশাকি নাম ‘গোল্ডেন ব্লাড’।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, সাধারণ রক্তে ব্লাড সেলগুলিতে ৩৪২টি অ্যান্টিজেন থেকে, যাদের কম্বিনেশনই নির্ধারণ করে সেই রক্তের গ্রুপ কী হবে। ১৯৬১ সালে এক নতুন ব্লাড গ্রুপের সন্ধান পাওয়া যায়, যার আরএইচ সিস্টেমে ৬১ অ্যান্টিজেনের অস্তিত্ব ছিল না।

এই প্রকার রক্তের নাম দেওয়া হয় ‘আরএইচ-নাল’। বিশ্বে মাত্র ৪৩ জনের শরীরে সেই সময়ে এই রক্তের সন্ধান পাওয়া যায়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাত্র ৯ জন মানুষ এই রক্তের অধিকারী। দুষ্প্রাপ্যতার কারণেই এই গ্রুপটির নামকরণ হয় ‘গোল্ডেন ব্লাড’। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গোল্ডেন ব্লাড-এর অধিকারীরা ইউনিভার্সাল ডোনার, অর্থাৎ তাঁরা অন্য যে কোনও ব্লাড গ্রুপের মানুষকে রক্ত দিতে সমর্থ। কিন্তু তাঁদের নিজেদের রক্তের প্রয়োজন পড়লে সমস্যা দেখা দেয়। কারণ একটাই— দুষ্প্রাপ্যতা। কিন্তু এই রক্তের অধিকারীদের জীবন যাপনে কোনও অসুবিধে হয়না। সামান্য রক্তাল্পতা তাঁদের থাকে বটে, কিন্তু সেটা মারাত্মক কিছু নয়।

তবে চিকিৎসকরা জানান, গোল্ডেন ব্লাড-এর অধিকারীদের সাবধানে জীবন যাপন করা উচিত। কোনও কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে তাঁদের বাঁচানো মুশকিল। প্রসঙ্গত, বম্বে ব্লাড গ্রুপ নামের আরও একটি দুষ্প্রাপ্য গ্রুপ রয়েছে। কিন্তু তা গোল্ডেন ব্লাড-এর মতো দুষ্প্রাপ্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eight + sixteen =