পাটনা: করোনাকালে শিশুদের ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে৷ পাটনার অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সে, পাটনা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, নালন্দা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল এবং ইন্দিরা গান্ধি ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স, এই চারটি প্রধান হাসপাতালে ভাইরাল জ্বরের চিকিৎসা করাতে আসা শিশুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷
ইন্দিরা গান্ধি ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্সের ডিরেক্টর ও ভাইস চ্যান্সেলর ড. এনআর বিশ্বাস সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, বিহারের রাজধানী পাটনার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত শিশুদের আনাগোনা বেড়েছে। শুধু পাটনা নয়, মুজফফরপুর-সহ অন্যান্য জেলায়ও শিশুদের ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। তবে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন যে, ‘এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। এটি প্রতি বছরই ঋতু পরিবর্তনের সময় হয়ে থাকা একটি মৌসুমী জ্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা সাধ্যমতো সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। বর্তমানে আইজিআইএমএস-এ যথেষ্ট শয্যা রয়েছে এবং শিশুদের জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারও মজুত রয়েছে।’
ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে৷ তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই জানিয়েছেন ড. বিশ্বাস। তাঁর মতে, ‘আমরা এ ব্যাপারে অনেকটাই আশাবাদী যে, শিশুদের ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার হার খুব তাড়াতাড়ি কমতে শুরু করবে।’ স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, ভাগলপুর মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে ৭০টি বেডের ব্যবস্থা রয়েছে এবং এখন সেখানে ৫৩ জন শিশু চিকিৎসাধীন। মুজফফরপুর, পশ্চিম চম্পারণ, পূর্ব চম্পারণ, সীতামারহী, সিওয়ান, চাপড়া, গোপালগঞ্জের ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা এখানে চলছে। গত সপ্তাহে ভাইরাল জ্বরে গোপালগঞ্জ জেলার এক শিশুর মৃত্যু হওয়ার পরই জেলা প্রশাসন সমস্ত চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীর ছুটি বাতিল করেছে।
গত সপ্তাহে বৈশালি জেলার হাজিপুরে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত প্রায় ২০ জন শিশুর মধ্যে একজন মারা গিয়েছে। হাজিপুর সদর হাসপাতালের স্পেশাল ওয়ার্ডে সাত জন শিশু ভর্তি রয়েছে। পিএমসিএইচের মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্ট ড. আইএস ঠাকুর সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘বর্তমানে পিএমসিএইচের পেডিয়াট্রিক ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত শয্যা রয়েছে। শিশুদের মধ্যে ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার বিষয়টা যথেষ্ট উদ্বেগের, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই৷ তবে আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায করতে পুরোদমে প্রস্তুত আছি।’ তিনি জানিয়েছেন, ভাইরাল ফিভারে চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে এখনও করোনার উপসর্গ দেখা যায়নি।