নয়াদিল্লি: একে করোনায় রক্ষে নেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস দোসর৷ করোনা আবহে নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস। দেশজুড়ে করোনায় জয়ী যোদ্ধারা এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন অনেকে। তাই এবার রাজস্থান ও তেলেঙ্গানার পর কেন্দ্রীয়ও সরকারও একই পথে হাঁটল৷ গোটা দেশেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করতে চলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এনিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বৃহস্পতিবার রাজ্যগুলির জন্য বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলির জন্য জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “মিউকোরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে ১৮৯৭-এর মহামারি আইন অনুসারে ‘নোটিফায়েবল’ অসুখ হিসেবে চিহ্নিত করা হোক।” এই ধরনের রোগীর কথা জানলেই রোগীর নাম সরকারিভাবে নথিভুক্ত করতে হবে। এরই সঙ্গে সমস্ত সরকারি, বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোম, স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে এই অসুখের চিকিৎসার জন্য আইসিএমআর এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তৈরি করা নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে কাজ করার নির্দেশ দিল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক।
কালো ছত্রাক নামে পরিচিত এই ভাইরাসটি করোনা আক্রান্তদের ফুসফুসে আক্রমণ হানছে। ফুসফুস প্রতিস্থাপন কিংবা আইসিইউয়ে থাকা রোগীর ক্ষেত্রে প্রাণঘাতী ভূমিকা পালন করছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। করোনাকালে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের আক্রমণ নিয়ে চিন্তায় চিকিৎসাবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই কালো ছত্রাকের চিকিৎসা খুবই ব্যয়সাপেক্ষ। এর চিকিৎসা করতে গেলে রোগীকে একাধিক ইঞ্জেকশন দিতে হয়। যার দাম অনেক টাকা। এছাড়া চিকিৎসার জন্য আলাদা পরিকাঠামোও প্রয়োজন, যা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল ছাড়া সম্ভব নয়৷ ফলে করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে এই রোগের হানা চিন্তা বাড়িয়েছে চিকিৎসকদের।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে দেড় হাজার মানুষের শরীরে এই কালো ছত্রাক বাসা বেঁধেছে৷ এর আক্রমণে মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। শুধু মহারাষ্ট্র নয় গুজরাট এবং দিল্লিতেও এর হদিশ পাওয়া গিয়েছে৷ এ রাজ্যেও ৬ জনের দেহে কালো ছত্রাকের সন্ধান মিলেছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই দাবি চিকিৎসক মহলের৷