কলকাতা: সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যেই মেলে বিভিন্ন রোগের ওষুধ৷ কিন্তু এবার সেই তালিকা থেকে বাদ পড়ল ক্যান্সার, ডায়াবেটিসের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ৷ সরকারি সিদ্ধান্তে দুশ্চিন্তায় গরিব মানুষ৷
আরও পড়ুন- পোস্ট করোনায় যেতে পারে শ্রবণশক্তিও!
জানা গিয়েছে তালিকায় রয়েছে ক্যান্সারের ওষুধ সিসপ্লাটিন, এটোপোসাইড, সাইক্লোফসফামাইড, এনোক্সাপারিন৷ পাশাপাশি ডায়াবেটিসের অপেক্ষাকৃত দামি ওষুধ লিনাগ্লিপটিন ও ভিলডাগ্লিপটিনের বদলে তালিকায় রাখা হয়েছে টেনেলিগ্লিপটিনের মতো কম দামের ওষুধ৷ সরকারের এই সিদ্ধান্তে মাথায় হাত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা দরিদ্র-মধ্যবিত্তের।
প্রসঙ্গত, বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহের জন্য বছরে ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করে থাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এর মধ্যে শুধুমাত্র পাঁচটি ওষুধের জন্য সরকারের খরচ হয় বছরে ৬০ কোটি টাকা। দামি ওষুধের পরিবর্তে সস্তার ওষুধ দিলে রাজ্যের কোষগারে সাশ্রয় হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা। ওষুধের অপচয় বন্ধ করতেই রাজ্য সরকার বিনামূল্যের ওষুধ সরবরাহে রাশ টেনেছে বলে জানা গিয়েছে৷
যদিও রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে একাধিক চিকিৎসক সংগঠন৷ অ্যা সোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিস ডক্টরস সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানোর বদলে স্বাস্থ্য দফতর সাশ্রয় করার কৌশল নিয়েছে৷ অন্যান্য ক্ষেত্রের অযথা খরচে রাশ টেনে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বরাদ্দ বাড়ানো উচিত ছিল সরকারের। যদিও সরকারি স্বাস্থ্যযকর্তারা বলছেন, কোনও ওষুধই বন্ধ করা হয়নি। একই রোগের চিকিৎসায় একাধিক মলিকিউলের ওষুধ থাকে। দামি মলিকিউলের ওষুধের পরিবর্তে কমদামি ওষুধ রাখা হলে তার কার্যকারিতায় কোনও বদল আসবে না।