নয়াদিল্লি: ভারতের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে দুটি ভ্যাকসিন দিয়ে। সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন। এবার সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আরো এক করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন আনা সম্ভব হবে বলে আশা দেখাচ্ছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, নোভাভ্যাক্সের টিকার ট্রায়াল শেষের দিকে। তাই সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই নোভাভ্যাক্সের করোনাভাইরাস টিকা কোভোভ্যাক্স আসবে বলে আশা করছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই ভারতের রাশিয়ান টিকা বানানোর অনুমতি পেয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এর পাশাপাশি হায়দরাবাদে আরো এক টিকার ট্রায়াল চলছে পুরোদমে। এই পরিস্থিতিতে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য আরও এক করোনাভাইরাস স্টিকার কথা বলল সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে আশার আলো দেখছে দেশবাসী। নোভাভ্যাক্স চলতি মাসেই এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল যে তাদের টিকা গুরুতর এবং মারাত্মক সংক্রমণ রোধে ১০০ শতাংশ পারদর্শী। আর সামগ্রিকভাবে এই টিকার কার্যকারিতা প্রায় ৯০ শতাংশের ওপর। তাই ভারতে এই টিকা এলে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে আরও দারুণভাবে সামাল দেওয়া যেতে পারে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
এদিকে আবার, কোভিশিল্ড টিকা নিয়ে নয়া বিতর্ক দেখা দিয়েছে। ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর নির্দিষ্ট দিনের ব্যবধানে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দেয়। এখন এই ভ্যাকসিন ১২-১৬ সপ্তাহের ব্যবধানে দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিশেষজ্ঞ এবং বৈজ্ঞানিকদের পরামর্শ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে এখন এই ইস্যুতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে আবার কারণ বিজ্ঞানীদের একাংশের জানিয়েছে, ভ্যাকসিনের ব্যবধান বাড়াতে পরামর্শ দেওয়া হয়নি।