নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে শুরু হয়েছে কোভিড ভ্যাকসিনেশন। ভ্যাকসিনেশনের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের জন্য অনেকেই নিজের নাম নথিভুক্তও করেছেন৷ কিন্তু, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে আপনার কী কী করণীয় জানেন কি? ভ্যাকসিন নেওয়ার দিন অসুস্থ হয়ে পড়লে কী করবেন? কী বলছেন চিকিৎসকরা৷
যে কোনও ধরনের অসুস্থতার অর্থ হল শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। কিন্তু, কোন কোন অসুস্থতা সত্ত্বেও টিকা নেওয়া যাবে সেবিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নির্দেশিকা অনুযায়ী- স্বাভাবিক জ্বর, সর্দিকাশির মতো অসুস্থতা হলে আপনি টিকা নিতে পারেন। আপনি যদি কোনও গুরুতর ভাইরাল সংক্রমণ বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সংক্রমণের রোগী হন তাহলে টিকা নেওয়ার জন্য সুস্থ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। অসুস্থ হলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা জীবাণু নির্মূল করার জন্য লড়াই চালায়, ফলে শরীর দুর্বল ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় কোভিড ভ্যাকসিন নিলে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করা শরীরের পক্ষে কিছুটা সমস্যাজনক হয়। শরীরকে আরও দুর্বল করে দেয়। আপনার যদি কোনও প্রকার এলারজি থাকে, সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ভ্যাকসিন নেওয়ার সময় যদি আপনার শরীরে কোভিডের উপসর্গ থাকে তাহলে অপেক্ষা করুন। কোভিড টেস্ট করার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিন। সংক্রমণের সময় ভ্যাকসিন নিলে ভ্যাকসিন কম কার্যকর হতে পারে। যারা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তারা ভ্যাকসিনের জন্য ৩ মাস অপেক্ষা করুন।
করোনা টিকা দেহে কৃত্রিমভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু চিকিৎসকদের একাংশের ধারনা যে, মানবদেহে কৃত্রিম রোগ প্রতিরোধের থেকে প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেশি কার্যকরী। কারণ প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা আমাদের শরীরকে ৯৯.৯৯ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সক্ষম। অন্যদিকে ভ্যাকসিনের প্রয়োগে সৃষ্টি করা কৃত্রিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ৯০-৯৪.৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস নিজের মিউটেশন পরিবর্তন করায় এই রোগে নতুন সংক্রমণে ঝুঁকি বেড়েছে। কিছুক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার পরে সংক্রমণ এমনকি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তাই করোনা মোকাবিলার বিকল্প উপায় হিসেবে টিকা নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।