কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে! রয়েছে যথেষ্ট কারণ

কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে! রয়েছে যথেষ্ট কারণ

নয়াদিল্লি: গত বছর করোনা ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর অনেকেরই ধারণা হয়েছিল যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি বয়স্কদের। তবে ধীরে ধীরে সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়ে যায় যখন করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের তথ্য সামনে আসতে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। তবে এবার করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তদের মধ্যে কম বয়সীদের সংখ্যা অনেক বেশি। এমনটা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর। যদিও এর পেছনে যে যথেষ্ট কারণ রয়েছে তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। 

আইসিএমআর মনে করছে, করোনাভাইরাস প্রথম ঢেউয়ে যখন কম বয়সীরা কম আক্রান্ত হচ্ছিল তখন তাদের মধ্যে প্রবণতা এসে গেছিল যে এই ভাইরাস হয়তো তাদের বেশি আক্রান্ত করতে পারবে না। সেই কারণে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে তারা বেশি করে বাড়ির বাইরে বেরোতে শুরু করে এবং অসচেতন হতে থাকে। এটাই কমবয়সীদের বেশি করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হবার সবথেকে বড় কারণ। এর পাশাপাশি আরও একটা কারণ দেখা যাচ্ছে সেটি হল, বিশ্বের যে কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে সেই কয়েকটি দেশে কম বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি যে কোনরকম বয়স মানছে না সেটা কার্যত প্রমাণিত। এখন ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে সকলকে যে করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। তখন শিশুদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি হবে বলেও চূড়ান্ত সর্তকতা জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ বয়স নিয়ে যে তর্ক চলছিলো এতদিন, সেই নিয়ে এখন তর্ক করা একেবারেই বেমানান। করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সকলের এটা এখন থেকেই মেনে নিতে হবে। 

ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানী মহলের তরফে দাবি করা হয়েছে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে ভারতে। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। যদিও করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ভারত। তাই অবশ্য ভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রবল। তবে মনে করা হচ্ছে, অধিকাংশ দেশবাসীকে যদি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে তৃতীয় ঢেউ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে এবং অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে। সেই প্রেক্ষিতেই এখন টিকাকরণের জোর দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *