জলের সাধ দুধে মেটান, বলছে গবেষণা

নয়াদিল্লি: জলের আর এক নাম জীবন৷ কিন্তু, এটাই যে চিরন্তন সত্য তা নয়৷ অন্তত সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য৷ সাধারণত একটানা প্ররিশ্রম অথবা জিমে এক ঘণ্টা দীর্ঘ অনুশীলনের পরে বা হঠাৎ যখন গলা শুকিয়ে যায়, তখনই অভ্যাসবশত তেষ্টা মেটাতে জল পান করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু সাম্প্রতিক ওই গবেষণা অনুযায়ী, জল মোটেই

জলের সাধ দুধে মেটান, বলছে গবেষণা

নয়াদিল্লি: জলের আর এক নাম জীবন৷ কিন্তু, এটাই যে চিরন্তন সত্য তা নয়৷ অন্তত সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য৷

সাধারণত একটানা প্ররিশ্রম অথবা জিমে এক ঘণ্টা দীর্ঘ অনুশীলনের পরে বা হঠাৎ যখন গলা শুকিয়ে যায়, তখনই অভ্যাসবশত তেষ্টা মেটাতে জল পান করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু সাম্প্রতিক ওই গবেষণা অনুযায়ী, জল মোটেই হাইড্রেটিং পানীয় নয়৷ বরং দুধ হল সর্বাধিক হাইড্রেটিং পানীয়৷ দুধের মধ্যে থাকা ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন৷ যা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে৷

আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশনে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, জলের তুলনায় দুধ অনেক ভাল বিকল্প হতে পারে৷ গবেষণাটিতে স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ইউনিভার্সিটির গবেষকরা এই গবেষণাকার্যে অংশগ্রহণকারী পুরুষদের উপর ১৩টি বিভিন্ন পানীয়ের রিহাইড্রেশন প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছিলেন৷ সেই গবেষণা শেষে প্রমাণিত হয় দুধ, জলের চেয়ে বেশি হাইড্রেটিং৷ কারণ এতে অল্প ফ্যাট, প্রোটিন, চিনির ল্যাকটোজ ও সোডিয়াম রয়েছে৷ যা মানবদেহে তৈরি হওয়া তরলের চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে৷ যখন তৃষ্ণার্ত বোধ হয় তখন তরলটির চাহিদা ভারসাম্য রাখতে সবচেয়ে উপযুক্ত৷ দুধে থাকা সোডিয়াম শরীরের মধ্যে থাকা তরল পদার্থ জমিয়ে রাখতে সাহায্য করে এবং মূত্র উৎপাদনে বাধা দেয়৷ ওরাল রিহাইড্রেশন ট্যাবলেট, পূর্ণ ফ্যাটযুক্ত দুধ, কমলার রস, কোলা, পুষ্টিকর কোলা সহ একাধিক হাইড্রেটিং পানীয়ের তালিকায় দুধের স্থান সবার উপরে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven + eighteen =