নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছিল দেশে। অধিকাংশ দেশবাসী ভেবেছিল এবার হয়তো অবশেষে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। কিন্তু এক মাসের মধ্যেই গোটা চিত্র পাল্টে গেছে। দিনপ্রতি সংক্রমণ হুহু করে বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত একদিনে সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার! এই একই সময়ে গোটা দেশে মৃত্যু হয়েছে ৮৩৯ জনের। সব মিলিয়ে গত বছরের সমস্ত রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে করোনাভাইরাস।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ভারতে নতুন করে ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭৯ জন, এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৩৯ জনের। সব মিলিয়ে দেশের মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৮০৫ এবং মৃত্যু ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ২৭৫। সম্প্রতি দেশের একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকা উৎসব পালন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে আজ থেকে আগামী ৩ দিন ভারতবর্ষে টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও বৃহত্তর ভাবে পালন করা হবে। যদিও কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী বেশ কয়েক দিনে টিকাকরণ কর্মসূচির গতি শ্লথ হয়েছে।
এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রের অবস্থাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৫৫ হাজার ৪১১ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ১২ হাজার ৭৪৮ জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে উত্তরপ্রদেশে। দিল্লিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৮৯৭ জন। কর্নাটকে নতুন করে ৬ হাজার ৯৫৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ ঠেকানোর জন্য বিভিন্ন রাজ্য নাইট কারফিউ তথা করোনা কারফিউ জারি করেছে। খুব একটা অবস্থা ভালো নয় আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গেরও। যদিও এখনও এই রাজ্যে কোন রকম কারফিউ জারি হয়নি তবে আগামী দিনে জারি হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এখন চিকিৎসক মহল সাধারণ মানুষের জন্য একটাই বার্তা দিচ্ছে যে আগের মত মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে। কারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আর অভাব দেখা দিচ্ছে। পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর, সামান্য করোনাভাইরাস নিয়মবিধি কেউ মানছেন না আর তাতেই আগামী দিনের পরিস্থিতি আরো বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।