নয়াদিল্লি: আরও বেশী সংখ্যক বেসরকারি হাসপাতালকে সরকারি স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচিতে যুক্ত করতে এবার অতিরিক্ত অনুদান দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ এক স্বাস্থ্য আধিকারিকের মতে, এটিই সম্ভবত বিশ্বের সবথেকে বড় ক্ষেত্র পরিষেবা পাবেন সাধারণ জনতা৷ যেখানে একদিকে দেশের বেসরকারি স্বাস্থ্যপরিষেবা ব্যয়বহুল অথচ জরাজীর্ণ সরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীর অত্যধিক চাপ৷ সেখানে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সংস্কারের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এমন পরিকল্পনা সমালোচিতও হয়েছে৷
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মোদিকেয়ার’ প্রকল্পে গুরুতর অসুস্থতার জন্য পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমা দেওয়া হচ্ছে৷ যা ভারতের মতো দেশের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ৷ সেখানে এই প্রকল্পটি সেই অর্থে রূপায়িত করা যাচ্ছে না৷ এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগের অধিকর্তা ইন্দুভূষণ জানিয়েছেন, শুধু মাত্র জনসচেতনতার অভাব ও বেসরকারি হাসপাতালগুলির অংশীদারিত্ব কম থাকায় ভারতে এপর্যন্ত অন্তত ৫ লক্ষ উপযুক্ত ভোক্তাদের মধ্যে থেকে মাত্র ২০শতাংশ মানুষকে বিমার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে জনসচেতনতা ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর ওপরে জোর দিতে হবে৷ এখনও পর্যন্ত এই বিমার আওতায় ৬০ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়েছে৷ এই বিমার আওতাধীন হাসপাতালগুলির মধ্যে ৬০শতাংশ বেসরকারি৷ এই সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে৷
তবে বিমার আওতায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে নিজেদের খরচের বিষয়ে চিন্তিত বেসরকারি হাসপাতালগুলি৷ কিছুদিন আগেই ফিককি এবং ই-ওয়াইয়ের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে চলতি অর্থবছরের আগস্টে মাস পর্যন্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিমার আওতায় চিকিৎসার ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তাদের খরচের ৪০ থেকে ৮০শতাংশ ভর্তুকিদেওয়া হয়েছে৷
এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য অধিকর্তা ইন্দুভূষণ জানিয়েছেন, হাসপাতাল, শিল্প সংস্থা এবং পরিষেবা প্রদানকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে চিকিৎসায় খরচের হারগুলি সংশোধন করার চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷ যদিও গত মাসে কিছু কিছু চিকিৎসার ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলিকে দেওয়া ভর্তুকির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি৷
ইন্দুভূষণ বলেন, প্রকল্প রূপায়ণের গতি থেকেই বোঝা যায় যে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ অর্থ উপযুক্ত পরিমানে খরচ হচ্ছে না৷ তবে চলতি অর্থবছরে মার্চ মাস পর্যন্ত বরাদ্দ ৬২০০ কোটি টাকার মধ্যে ৫০০০-৫৫০০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য মাত্রা রাখছে স্বাস্থ্য বিভাগ৷ পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করে সরকারী স্বাস্থ্য বিমাকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়ে আশাবাদী স্বাস্থ্য অধিকর্তা৷