ধরা যাক এমন হল, আপনি টয়লেটে গেলেন প্রাত্যহিক কাজকর্ম সারতে। কমোডে গুছিয়ে বসলেন। আর, খানিকক্ষণের মধ্যে আপনার টয়লেটই জানিয়ে দিল, আপনি শারীরিক ভাবে ঠিক কেমন আছেন! শরীরে ফের কোনও রোগ বাসা বাঁধল কি না? আলাদা করে ডাক্তার-বদ্যির কাছে যাওয়া নয়, নানাবিধ প্যাথলজিকাল টেস্টের চক্কর নয়- স্রেফ হাগু করতে গিয়ে আপনি জেনে গেলেন আপনার শরীরের হাল-হকিকত।
বিজ্ঞানীদের চোখে এখন এমন স্বপ্নই! মানুষকে দীর্ঘায়ু করা বিজ্ঞানের অন্যতম লক্ষ্য। রোগকে ঠেকিয়ে রেখে, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতেই সে চায়। সে কাজে অন্যতম জরুরি ব্যাপার হল, রোগকে চিনতে পারা। রোগ শনাক্তকরণের পদ্ধতি যত সহজসাধ্য হবে, তার নিরাময়ের কাজও শুরু হবে তত দ্রুত। মানুষের জীবনও হবে তত লম্বা।
ব্রিটেনে হওয়া ‘স্মার্ট হোম উইকে’ সক্রিয় সহায়তায় করেছে গুগল, অ্যামাজন, ইবে ইত্যাদি নামি ব্র্যান্ড। আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থার খবর, সেখানেই অ্যাপ্লায়েড ফিউচারিস্ট টম চিজরাইট বলেন, সেই দিন আর বেশি দূরে নয় যখন এমন আধুনিক বাড়ি মানুষ বানিয়ে ফেলতে পারবে, যেখানে টয়লেটই বাতলে দেবে তার শরীরের অবস্থা। স্রেফ মল পরীক্ষা করেই বলে দিতে পারবে সব কিছু। এই অসাধ্য সাধন হবে উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তির সাহায্যে, আশায় বিজ্ঞানীরা।