নয়াদিল্লি: হাতিয়ার বলতে শুধুমাত্র লকডাউন এবং পারস্পরিক দূরত্ব, না হলে একজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর থেকে সংক্রামিত হতে পারেন কমপক্ষে ৪০০ জন! আসলে এই সংখ্যাটা ৪০০-র বেশি, রিপোর্ট অনুযায়ী ৪০৬ জন। এমনই দাবি করছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ বা আইসিএমআর গবেষণা। অতএব সংক্রমণ রোধের জন্য দাবি করা হচ্ছে লকডাউন এবং পারস্পরিক দূরত্ব সবথেকে বেশি জরুরি।
রিপোর্ট বলছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ আটকানোর জন্য যে নিয়মবিধি মানতে বলা হচ্ছে তার মধ্যে সবচেয়ে উপযোগী লকডাউন এবং পারস্পরিক দূরত্ব। যদিও ৬ ফুট দূরত্ব থেকেও মানুষ সংক্রামিত হতে পারেন বলেই ধারণা। ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে একমাত্র মাস্ক। মাস্ক না পরলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা ৯০ শতাংশ। এক জন সুস্থ মানুষ যদি মাস্ক পরেন, আর সংক্রমিত ব্যক্তি যদি মাস্ক না পরেন, সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ৩০ শতাংশ। দু’জনেই মাস্ক পরলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা মাত্র ১.৫ শতাংশ। আরও বলা হচ্ছে, পারস্পরিক দূরত্ব বিধি যদি ৫০ শতাংশ মানুষ মেনে চলেন তাহলে একজন করোনি রোগীর থেকে সংক্রমিত হওয়ার ভয় থাকে কিন্তু সেটা নিতান্তই কম, মাত্র ১৫ জন। এদিকে যদি ৭৫ শতাংশ মানুষ নিয়ম মেনে চলেন তাহলে মাত্র ২ জন মানুষ করোনাভাইরাস আক্রান্ত হতে পারেন। এই প্রেক্ষিতে দাবি করা হচ্ছে, লকডাউন কার্যকরী না হওয়া পর্যন্ত একমাত্র মাস্ক ভরসা জোগাতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়ি থেকে বেরোলে মাস্ক অবশ্য ভাবে পড়তে হবে। কোন কোন ক্ষেত্রে বাড়িতেও মাস্ক পরে থাকতে হবে যদি হোম কোয়ারেন্টিনে কোনও করোনা রোগী থাকেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩,২৩,১৪৪ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলল। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২,৮১২ জন। এই নিয়ে টানা ৭ দিন দৈনিক ২ হাজারের বেশি মৃত্যুসংখ্যা।