নয়াদিল্লি: দেশের সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে তাই তুলে নেওয়া হোক অতিরিক্ত বিধিনিষেধ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই মর্মে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে স্বস্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে দেশে কারণ মনে করা হচ্ছে যে, এবার আগের মতো সাধারণ জীবনে ফেরা যাবে। কিন্তু বারংবার ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। কেউ যেন বিষয়টিকে হালকাভাবে না নেন তার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু ওমিক্রন কি আগের মতো সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দেশে? এই প্রশ্ন উত্তর খোঁজা শুরু। আশার আলো দেখাচ্ছেন নীতি-আয়োগের অন্যতম সদস্য চিকিৎসক ভিকে পল।
আরও পড়ুন- মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে ৭ রাজ্যে ১৪ বিয়ে ভুয়ো ডাক্তারের! অবশেষে পুলিশের জালে গুণধর
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত কমে গিয়েছে দেশে। বিগত কিছু সপ্তাহের পরিসংখ্যান তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাঁর এই মন্তব্যে স্বস্তি বাড়লেও একটা ছোট আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। তাঁর কথায়, দেশের বহু মানুষ ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন ঠিকই, আবার এমন অনেক মানুষ আছেণ যারা ওমিক্রন সংক্রামিত হয়ে বুঝতেই পারেননি। এদিকে তাদের ক্ষতি হয়েছে শরীরে। তাই এই প্রজাতি কতটা ভয়ানক তা আলাদা করে বলতে লাগবে না। তাই সংক্রমণ কমলেও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু করার আগে সকলকে সতর্কই থাকতে হবে বলে পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর মত, আগামী কয়েক মাস অবশ্যই কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে।
দেশের সার্বিক কোভিড তথ্যের প্রেক্ষিতে কেন্দ্র জানিয়েছিল, মহামারীর সংক্রমণ হ্রাসের একটি প্রবণতা দেখা গিয়েছে। তাই এখন আর করোনার অতিরিক্ত বিধিনিষেধ দরকার আছে বলে মনে করছে না তারা। তাই রাজ্যের অতিরিক্ত কোভিড -১৯ নিষেধাজ্ঞাগুলি যাচাই করে তা তুলে নেওয়া হোক। বিমানবন্দর এবং সীমান্ত সংক্রান্ত বিধি যাতে তুলে নেওয়া হয় সেই দিকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও, বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া মানে যে কোভিড পরিস্থিতির দিকে আর নজর দিতে হবে না এমনটা নয়। প্রতিনিয়ত করোনা বিষয়ক নজরদারি চালাতে হবে বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।