নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ পেরিয়ে এখন মোটামুটি বিশ্বের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল। ডেল্টা এবং ডেল্টা প্লাস প্রজাতির রক্তচক্ষু এড়িয়ে কিছুটা হলেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছিল পৃথিবী। কিন্তু আবার এক নতুন প্রজাতির ভয় কাঁপছে বিশ্বের মানুষ। তার নাম ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই এই প্রজাতি নিয়ে সতর্ক বার্তা দিয়ে দিয়েছে সকল দেশকে। মনে করা হচ্ছে এটি ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি সংক্রামক হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছে যে, এই প্রজাতি যদি সব রকম সর্তকতা স্বত্ত্বেও ছড়িয়ে পড়ে তাহলে সেটা আখেরে ‘লাভ’! ঠিক কী বোঝাতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা?
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে যে, করোনাভাইরাসের এই নতুন প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রমক হলেও কম বিপজ্জনক। যদিও সেটা নিয়ে এখন অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। কিন্তু বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের বক্তব্য, যদি সত্যিই এই প্রজাতি সংক্রামক হলেও বিপজ্জনক কম হয় এবং ডেল্টা প্রজাতিকে সরিয়ে প্রধান সংক্রামক প্রজাতি হয়ে উঠতে পারে তাহলে সেটা ভালো ব্যাপার। কারণ এতে বেশি সংক্রমণ ঘটলেও মানুষের বিপদ অনেক কমে যাবে এবং মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় শূন্য হয়ে যাবে। ধীরে ধীরে এভাবে সংক্রমণ থেকে মুক্তি মিলবে সকলের। অর্থাৎ এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়লে তা ‘শাপে বর’ হতে পারে। এখন গোটা বিশ্ব জুড়ে ডেল্টা প্রজাতির আতঙ্ক ছড়িয়ে রয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে যদি ওমিক্রন তাকে সরিয়ে প্রধান সংক্রামক হতে পারে তাহলে করোনার ভয়াবহতা কমবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম খোঁজ মেলা এই নতুন প্রজাতি ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে হংকং থেকে শুরু করে চিন এবং ভারতের মতো দেশে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে যে এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হলে প্রচন্ড ক্লান্তি আসবে কিন্তু বাকি উপসর্গ ন্যূনতম। আপাতত মনে করা হচ্ছে যে এই প্রজাতি অনেক বেশি সংক্রামক হলেও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারবে না। যদিও এই প্রজাতি আগের প্রজাতির তুলনায় অনেক বেশি বার মিউটেশন করে ফেলেছে।