কলকাতা: গত বছরের শেষ যখন করোনার উপদ্রব কমে আসছিল, যখন সবাই মনে করছিল যে এইবার সংক্রমণ একেবারে শেষ হয়ে যাবে, ঠিক সেই সময়ই ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত শুরু হল। একেবারে ঝড়ের গতিতেই সংক্রমণ শুরু হল গোটা বিশ্বজুড়ে। এমনকি ডেল্টা প্রজাতির থেকেও বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা দেখিয়েছে এই ওমিক্রন। এখন এই প্রজাতি নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তবে যে গতিতে ওমিক্রন শুরু হয়েছে, সেই রকেট গতিতেই এর শেষ হবে বলে এসবিআইয়ের এক রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে।
যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তাতে বলা হয়েছে, জানুয়ারির শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ওমিক্রনের দাপটেই করোনা তৃতীয় ঢেউ শিখরে পৌঁছবে। দেশজুড়ে আক্রান্তের পরিমাণ ব্যাপক বাড়বে। কিন্তু এই একই রিপোর্ট বলছে, রকেট গতিতে উত্থানের মতোই এই ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ নামতে শুরু করবে। অর্থাৎ, যে গতিতে শুরু হয়েছে সংক্রমণ, সেই একই রকম গতিতে শেষ হতে পারে তা। দেশের একাধিক রাজ্যে তথা জেলায় বিগত কিছুদিনের তুলনায় কমতে শুরু করেছে সংক্রমণ। কয়েক দিন আগে পর্যন্ত দেশের দৈনিক আক্রান্ত আড়াই লক্ষের ওপর ছিল, এখন তা অনেকটাই কমেছে। তাই অনুমান, এই ক্ষেত্রে হয়তো এই রিপোর্ট সঠিক দিশা দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছিলেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ। পাশাপাশি দাবি করা হয়েছে, ভারতের দৈনিক সংক্রমণ যখন শীর্ষে থাকবে তখন প্রতিদিন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। গবেষকরা অবশ্য তিনটি কল্পিত পরিস্থিতির ভিত্তি নিয়েছেন। এক, যদি জনসংখ্যার ১০০ শতাংশই সংক্রমিত হন। দুই, যদি জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হন। তিন, যদি ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা সংক্রমিত হয়।