ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয় ওমিক্রন সংক্রমণ!

ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে দেয় ওমিক্রন সংক্রমণ!

নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে এখন একটাই ত্রাস, ওমিক্রন। ডেল্টা প্রজাতির থেকে বেশি সংক্রামক এই প্রজাতি ভারত সহ অধিকাংশ দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। দিন দিন নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে এই ভাইরাস প্রজাতি নিয়ে। গবেষকরা দাবি করছিল যে, ডেল্টাকে ছাপিয়ে ওমিক্রন হয়ে উঠছে মূল সংক্রামক প্রজাতি, আর এটা নাকি ‘শাপে বর’। কারণ বেশি সংক্রামক হলেও মারণ ক্ষমতা কম ওমিক্রনের। কিন্তু এখন জানা গেল, ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে ওমিক্রন সংক্রমণ।

বিশ্বে সর্ব প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় এই প্রজাতি ধরা পড়েছিল। সেখানেরই এক গবেষণা বলছে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে পরে ডেল্টা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তি অনেক বেড়ে যেতে পারে রোগীর। অর্থাৎ ওমিক্রন, ডেল্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সে ক্ষেত্রে কেউ যদি ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার পর ডেল্টায় সংক্রমিত হয়ে পড়েন, তাহলে তার ভয়াবহতা অনেকটাই কমে যেতে পারে বলে দাবি। আফ্রিকা হেল্থ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তরফে গবেষণাটি চালানো হয়েছে টিকা না নেওয়া এবং টিকা নেওয়ার পরেও যাঁরা ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন তাঁদের উপর। সেই ভিত্তিতেই এমন দাবি করা হচ্ছে।

এদিকে আমেরিকা ছাড়া ইউরোপের একাধিক দেশে এখন দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও কোথাও তা দৈনিক ১ লক্ষ হচ্ছে। তার জন্য যে পুরোপুরি ওমিক্রন দায়ি তা স্পষ্ট। আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলিতে আগে থেকেই ডেল্টাকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই প্রজাতি। তাই ওমিক্রন নিয়ে এদিকে চিন্তা দিন দিন বাড়ছে।কারণ টিকা নেওয়া থাকলেও এই প্রজাতি কাউকে কাবু করতে সক্ষম সেটার ইঙ্গিতও মিলেছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের শরীরে ওমিক্রনের মূলত ৮ টি উপসর্গ লক্ষ্য করা যায়। সেগুলি হল: মাথা যন্ত্রণা, কাশি, সর্দি, ক্লান্তি, গলা যন্ত্রণা, জ্বর, পেশী যন্ত্রণা, কনুই, হাঁটু, কোমরে যন্ত্রণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *