নয়াদিল্লি: প্রথম দফায় করোনাভাইরাস টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছে দেশজুড়ে। ১ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। তবে এবার টিকা নিতে গেলে দিতে হবে টাকা, এমনই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকারি ক্ষেত্রে টিকা বিনামূল্যে প্রদান করা হলেও, বেসরকারি ক্ষেত্র থেকে টিকা নিতে গেলে তা দাম দিয়ে কিনতে হবে। এদিন এই বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। ৬০ বছরের উর্ধ্বে হলেই মিলবে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন। তবে বেসরকারি হাসপাতালে ভ্যাকসিন নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে করতে হবে খরচ। অন্যদিকে কমোর্বিডিটি থাকলে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের ভ্যাকসিন মিলবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১০ হাজার সরকারি এবং ২০ হাজার বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার টিকাকরণ শুরু হবে। দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাস টিকা নিতে গেলে টাকা দিয়ে তা কিনতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। যদিও সেটা শুধুমাত্র প্রযোজ্য বেসরকারি হাসপাতালের জন্য, সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। যদিও টিকার দাম কত হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি চূড়ান্তভাবে। সরকার জানাচ্ছে, আগামী তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই নির্ধারিত হয়ে যাবে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের দাম। যদিও, ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক এখনো পর্যন্ত বহাল কারণ অনুমদিত দুটি ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা এবং সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। সাধারণ কাজ করার সময়ও শারীরিক অক্ষমতা প্রকাশ পাচ্ছে। তাই ভ্যাকসিন আদৌ সুরক্ষিত কিনা সে ব্যাপারে প্রশ্ন চিহ্ন উঠেছে।
Those who want to get vaccinated from private hospitals will have to pay. The amount they would need to pay will be decided by the health ministry within 3-4 days as they are in discussion with manufacturers & hospitals: Union Minister Prakash Javadekar pic.twitter.com/Vi0V37oOJL
— ANI (@ANI) February 24, 2021
এদিকে, করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের জন্য আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে ছত্রিশগড়, পঞ্জাবে ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছে যে অনুমান করা হচ্ছে আগামী কয়েক দিন পরেই হয়তো এই সমস্ত রাজ্যের লকডাউন কার্যকরী হয়ে যেতে পারে। সবচেয়ে আগে লকডাউন কার্যকরী হবার সম্ভাবনা রয়েছে মহারাষ্ট্রে, কারণ সেই রাজ্যের দিনপ্রতি প্রায় ৬০০০ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, নতুন প্রজাতির করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আগামী বেশ কয়েক দিনে আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই এখন থেকে যদি সাধারণ মানুষ আগের মতো সচেতন না হয় তাহলে দুর্ভোগ রয়েছে সকলের জন্য।