নয়াদিল্লি: নতুন বছরের শুরুতেই চরম স্বস্তি পেয়েছে দেশবাসী। দুটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে দেওয়া হয়েছে ভ্যাকসিন। আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে যাবে বলেও জানা গিয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিন নিয়ে কিঞ্চিৎ আশংকা প্রকাশ করলেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কটরমন রমাকৃষ্ণন। মূলত কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন চিন্তা রয়েছে তাঁর।
আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, সরকার যে দুটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনে অনুমোদন দিয়েছে তার মধ্যে একটি হলো ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর নির্মিত ভ্যাকসিন কোভ্যাক্সিন। তবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল’ রিপোর্ট এখনো অসম্পূর্ণ রয়েছে। টিকা নেওয়ার আগে ট্রাই এর রিপোর্ট দেখে নেওয়া অবশ্যই উচিত বলে মন্তব্য করেছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। তাঁর কথায়, যে টিকার ট্রায়াল’ সম্পূর্ণ হয়নি, সেই টিকা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জেনে নেওয়া কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। ট্রায়ালের তথ্য না জেনে টিকা গ্রহণ করা বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকি এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভেঙ্কটরমন রমাকৃষ্ণন। যদিও অক্সফোর্ড এবং সেরাম ইনস্টিটিউট নির্মিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে এইরকম কোন বিতর্ক এখনো পর্যন্ত সৃষ্টি হয়নি। তবে অন্য ভ্যাকসিন নিয়ে এর আগেও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। যেমন কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, কোভ্যাক্সিন নিয়ে তাড়াহুড়ো করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে রাইবোজোমের গঠন নিয়ে কাজ করে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন ভেঙ্কটরমন রামাকৃষ্ণন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পরেই দেশজুড়ে ভ্যাকসিন বণ্টন শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন নিয়ে সাধারণ মানুষের উন্মাদনা তুঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, প্রথম দফায় ৩ কোটি ডোজের খরচ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, টিকাকরণের কোনও খরচ রাজ্যকে বহন করতে হবে না। পাশাপাশি তিনি এও জানান, করোনা ভাইরাস টিকার প্রতি ডোজের দাম হবে ২০০ টাকা। প্রথম পর্যায়ে যাদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে তারা হলেন স্বাস্থ্যকর্মী, সাফাই কর্মী এবং পুলিশকর্মী। ইতিমধ্যেই টিকা করনের জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।