Aajbikel

জ্বর কমার পর হঠাৎ কমছে প্লেটলেট! ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ

 | 
জ্বর

 লখনউ: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রূপ পাল্টেছে করোনা ভাইরাস৷ এসেছে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট৷ একই ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি। রীতিমতো প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সুস্থ হয়ে ওঠার পরেও হঠাৎ করে প্লেটলেটের সংখ্যা কমে যেতে পারে। একাধিক ডেঙ্গি রোগীর মধ্যে এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে৷ ডেঙ্গির এই নয়া রূপকে ডি-২ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আপাতত উত্তর প্রদেশ ও দিল্লিতে বেশ কিছু সংখ্যক রোগীর মধ্যে এই উপসর্গ দেখা দিয়েছে।

এই নতুন ভ্যারিসেন্টের উপসর্গগুলি কী কী? চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গির এই নতুন ভ্যারিয়েন্টে প্রথম দুই দিন জ্বর থাকছে। তৃতীয় দিন থেকে জ্বর কমতে শুরু করছে৷ রোগী যখন সম্পূর্ণ সুস্থবোধ করছেন, তখন হঠাৎ করে প্লেটলেটের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে৷ অনেকে চিকিৎসা করানোর সময়টুকুও পাচ্ছেন না৷ মৃত্যু হচ্ছে রোগীর৷ 

ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে উত্তর প্রদেশের লোকবন্ধু হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডঃ অজয় শঙ্কর ত্রিপাঠী বলেন, সাধারণ ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর শরীরে প্লেটলেটের সংখ্যা ১০ হাজারের নীচে নেমে গেলে, তা উদ্বেগজনক হয়ে ওঠে। কিন্তু, ডেঙ্গির নতুন ভ্যারিয়েন্ট  ডি২ শরীরে বাসা বাঁধলে প্লেটলেটের সংখ্যা ৪০ হাজারের নীচে নামলেই তা অত্যন্ত উদ্বেগের৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷ 


যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে ডেঙ্গির এই ভ্যারিসেন্ট প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে৷ জ্বর কমে যাওয়ার পর দুম করে কমে যাচ্ছে প্লেটলেটের সংখ্যা। অনেকের আবার খিঁচুনিও হচ্ছে৷ সদ্য করোনামুক্ত ব্যক্তিরা ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে, তার প্রভাব সরাসরি পড়ছে লিভারের উপরে। হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সঙ্কট মোকাবিলায় চিকিৎসকরা ‘সিঙ্গল ডোনার প্লেটলেট ট্রান্সফার’ পদ্ধতি অনুসরণ করছেন৷ 

সাধারণ ডেঙ্গির উপসর্গ-
•    হঠাৎ জ্বর,  ঠাণ্ডা লাগা।

•    মাথা ব্যাথা, চোখের পিছনে, পেশি ও হাঁটুর সঙ্গে সারা শরীরে ব্যাথা।

•     দুর্বল শরীর, ক্ষুধা না পাওয়া।

•     মাথাঘোরা, গলা ব্যাথা।

•    শরীরে র্যারশ।

ডেঙ্গি হেমোরেজিক জ্বর (ডি-২)-এর লক্ষণ-


•    নাক ও মাড়ি থেকে রক্ত বেরনো

•    বমির সঙ্গে রক্তপাত৷

•    গায়ে গাঢ় নীল বা কালশিটে দাগ

ডেঙ্গি শকের উপসর্গ-


• রোগীর শররীরে অস্থিরতা তৈরি হওয়া৷

•  জ্বর থাকা সত্ত্বেও ত্বক শীতল হওয়া৷

• ঘনঘন সংজ্ঞা হারানো৷

• হৃৎস্পন্দন কখনও অত্য়ন্ত ধীর, আবার কখনও অত্য়ন্ত দ্রুত হওয়া৷


 

Around The Web

Trending News

You May like