নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি যে মুহূর্তে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে ঠিক সেই মুহূর্তে ব্রিটেনের নতুন করোনাভাইরাস প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছিল দেশে। এবার ফের একবার নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হল ভারতে। তবে এবার আর ব্রিটেনের করোনাভাইরাস প্রজাতি নয়, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশে। ইতিমধ্যে মোট ৫ জনের দেহে এই ভাইরাসের হদিস মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এদের মধ্যে চারজন আক্রান্ত দক্ষিণ আফ্রিকান প্রজাতির করোনাভাইরাসে এবং বাকি একজন ব্রাজিলীয় প্রজাতির করোনাভাইরাসে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা, আঙ্গোলা এবং তানজানিয়া থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে থেকে এই সংক্রমণ ধরা পড়েছে। প্রত্যেকটি কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ অর্থাৎ আইসিএমআর এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছে। এই নতুন প্রজাতি আগের প্রজাতি বা ব্রিটেনের প্রজাতি থেকে কতটা বেশি ভয়ঙ্কর বা ভয়ঙ্কর নয় সেই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে এই ক্ষেত্রে। দেশে এখন করোনাভাইরাস টিকাকরণ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই টিকা নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস রুখতে কতটা বেশি সক্ষম হবে বা আদৌ হবে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। এদিকে, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বুলেটিন জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি হয়েছে। একমাত্র কেরল এবং মহারাষ্ট্র ছাড়া মোটামুটি প্রতি রাজ্যেই করোনার সংক্রমণে কার্যত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আগামী মাস থেকেই পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে, এদিন এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে করোনা টিকার বন্টনের দ্বিতীয় ধাপে পা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। সেই সঙ্গে তিনি জানান গত ৭ দিনে ভারতের করোনা সংক্রমণের হারও কমেছে অবিশ্বাস্য হারে। দেশ জুড়ে মোট ১৮৮টি জেলায় গত এক সপ্তাহে একটিও নতুন করোনা সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি, জানিয়েছেন তিনি।