ওয়াশিংটন: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সামলে ওঠার আগেই বিশ্বে নতুন প্রজাতির এক করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। ব্রিটেন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস ইতিমধ্যেই ইউরোপের একাধিক দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। সংক্রমণের হাত থেকে বাদ যায়নি ভারতও। এদেশেও ইতিমধ্যে ব্রিটেনের ফেরত ৬ জনের শরীরে নতুন প্রজাতির সংক্রমণ দেখা গেছে। সব মিলিয়ে চূড়ান্ত ভাবে আশঙ্কায় পড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হয়ে গিয়েছে, কিন্তু এই ভ্যাকসিন কি নতুন করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারবে? এই প্রশ্ন এখন সকলের মনে। যদিও গবেষকদের দাবি, এটি সম্ভব।
নতুন প্রজাতির যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেটি ভ্যাকসিন রোধ করতে পারবে, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের একাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বিখ্যাত চিকিৎসক অ্যান্টনি ফাউচি জানাচ্ছেন, আপাতত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে মনে করা হচ্ছে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন এই নতুন ভাইরাসকে রোধ করতে পারবে। যদিও এই বিষয়ে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। আরও জানানো হয়েছে, যে কোন ভাইরাসের ছোট-বড় বিবর্তন হয় স্বাভাবিক নিয়মেই, যে জায়গার জনসংখ্যা যত বেশি সেখানে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ভাবেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তাই নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাস অবিশ্বাস্য কিছু করছে তা আপাতত মানতে রাজি নন চিকিৎসক এবং গবেষকরা। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা হচ্ছে যে আদতে যে ভ্যাকসিন বের করা হচ্ছে তা এই নতুন ভাইরাসকে কতটা রোধ করতে পারবে।
যদিও একটা আশঙ্কার কথা থেকেই যাচ্ছে। এই নতুন প্রজাতির করোনাভাইরাস যদি ন্যূনতম সময়ে নিজেকে অতিরিক্ত পাল্টাতে সক্ষম হয়ে যায় তাহলে যে ভ্যাকসিন বের করা হচ্ছে সেটি হয়তো তুলনামূলকভাবে বেশি দিন এই ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারবে না। যদি তেমনটা হয় তাহলে ঠিক কত দিনে এই ভাইরাস রোধের ভ্যাকসিন তৈরি করা সম্ভব বা আদৌ সম্ভব কিনা সেই নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গবেষক এবং বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও এই ব্যাপারটা মাথায় নিয়ে নানা বিধ পরীক্ষা চলছে।