করোনা কালে সাহায্য করবে ‘৪-৭-৮’ নিঃশ্বাস প্রক্রিয়া! কেমন এই পদ্ধতি?

করোনা কালে সাহায্য করবে ‘৪-৭-৮’ নিঃশ্বাস প্রক্রিয়া! কেমন এই পদ্ধতি?

কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ফের ঘুম কেড়েছে সকলের। ২০২০ সাল থেকেও যেন এই বছর আরো বেশি আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। পরিসংখ্যান বলছে, গত পাঁচ দিনে দেশের ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১২ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ! এই সময় অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে হাসপাতালে যা আলাদা করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে মানুষের মধ্যে। এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে অনেকেই বলছেন যে তাদের সঠিকভাবে ঘুম হচ্ছে না। অন্যদিকে ঘুম না হওয়ার জন্য অন্যান্য রোগ বাসা বাঁধছে শরীরে। এই পরিস্থিতিতে এক নতুন ধরনের ‘নিঃশ্বাস নেওয়ার’ পদ্ধতি জনপ্রিয় হয়েছে। যেটি হল, ৪-৭-৮ নিঃশ্বাস প্রক্রিয়া। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদ্ধতি মেনে যদি শ্বাস নেওয়া যায় তাহলে ঘুমের ব্যাঘাত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এখন প্রশ্ন হল, কী এই পদ্ধতি? 

আমেরিকার চিকিৎসক অ্যান্ড্রু ভাইলের মত অনুসারে, প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে ৪ সেকেন্ড নিঃশ্বাস নিতে হবে মুখ বন্ধ করে। শুধুমাত্র নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিতে হবে। এরপর বুকের মধ্যে সেই অক্সিজেন ধরে রাখতে হবে ৭ সেকেন্ড। তারপর সেই বুকের ভেতরের শ্বাস শুধুমাত্র মুখ দিয়ে ছাড়তে হবে ৮ সেকেন্ড ধরে। এটি হল আসলে ‘৪-৭-৮’ নিঃশ্বাস পদ্ধতি। তিনি জানাচ্ছেন, এই গোটা প্রক্রিয়াটি সব মিলিয়ে মোট চারবার করতে হবে। বিশ্বজুড়ে এখনই এই নিঃশ্বাস প্রক্রিয়া জনপ্রিয় হচ্ছে তার কারণ অনেকেই বলছেন যে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করার ফলে ভালো ঘুম আসছে রাতে। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে যাদের ঘুম কমে গিয়েছে বা কোনো কারণে ঘুম আসছে না তারা এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারেন। সেই কারণে শুধু এই দেশে নয় বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এই নিঃশ্বাস প্রক্রিয়া। 

দেশে যেভাবে দিনদিন করেনা ভাইরাস সংক্রমণ বাড়ছে তাতে আশঙ্কা বৃদ্ধি পাওয়া একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার নয়। এদিকে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়া অধিকাংশ রোগীর অক্সিজেনের অভাব দেখা দিচ্ছে শরীরে এবং যার ফলে হাসপাতালে অক্সিজেনের ঘাটতি হচ্ছে। এদিকে শ্বাস নেওয়ার সময় অসুবিধা হওয়ায় শরীরে অন্যান্য সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, এই অতিমারির সময়ে যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়ে থাকে তাহলে অন্য সমস্যা দেখা দেবে যার কারণে জটিলতা আরো বাড়বে। সেই কারণে এই নিঃশ্বাস প্রক্রিয়ার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *