নয়াদিল্লি: চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে গোটা দেশজুড়ে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান। যদিও এই মুহূর্তে যখন দেশ করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ে ছারখার তখনই ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিয়েছে সব রাজ্যে। অনেকে প্রথম ডোজ পেলেও দ্বিতীয় ডোজ পাচ্ছেন না। এদিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বিষয়ক কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যা আশঙ্কা বাড়িয়েছিল দেশবাসীর মধ্যে। সাধারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি ঘটনা বিশেষজ্ঞদের কপালেও ভাঁজ তৈরি করেছিল। যার মধ্যে ছিল রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো ঘটনা। এবার এই রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা স্বীকার করে নিল জাতীয় কমিটি।
মূলত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পর বেশ কয়েকজনের শরীরে রক্ত জমাট বেধে গেছে বলে স্বীকার করে নিয়েছে ‘দা ন্যাশনাল কমিটি অন সিরিয়াস এডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমুনাইজেশন’ বা এইএফআই। তারা জানাচ্ছে, ভারতের প্রতি ১০ কোটি টিকার মধ্যে মাত্র ৬১ জনের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার মতো ঘটনা ঘটেছে। যদিও বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় ভারতে এই সংখ্যা অনেক কম বলে জানানো হয়েছে। তবে এই ঘটনা শুধুমাত্র কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই হয়েছে, কোভ্যাক্সিন ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। এই জাতীয় কমিটি আরও জানাচ্ছে, মূলত ব্রিটেন এবং পশ্চিমী দেশ গুলিতে রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার মতো ঘটনা বেশি পরিমাণে দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ এশীয় দেশ গুলির বাসিন্দাদের মধ্যে এই প্রবণতা কম। তবে অল্প সংখ্যক হলেও রক্ত জমাট বেধে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবে ভ্যাকসিন নিয়ে একটা চাপা আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে।
করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হবার পর থেকে ‘গ্যুলান ব্যারে সিনড্রোম’-এর প্রসঙ্গ উঠেছিল অনেকবার। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মূলত নার্ভের সমস্যা দেখা যায় মানুষের শরীরে। উপরিউক্ত এই সিনড্রোম নিয়ে রীতিমত গবেষণা চলেছে এবং এখনও চলছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই সিনড্রোম হতে পারে কিনা বা হওয়ার সম্ভাবনা কতটা তাই নিয়েও বিভিন্ন ডাক্তারদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই অধিকাংশ মানুষের হচ্ছে। ব্যতিক্রমী কিছু ঘটনা ঘটলেও সেটার সংখ্যা খুবই অল্প।