নয়াদিল্লি: কয়েকদিন আগেই ভারত বায়োটেকের নাসাল ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছিল কেন্দ্র। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ক্লিনিক্যাল পর্যায়ের ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছিল ভারত বায়োটেক। এখন সাম্প্রতিক যে গবেষণার তথ্য সামনে এসেছে সেখানে এই ভ্যাকসিনকে ‘গেমচেঞ্জার’ মনে করা হচ্ছে। আসলে এই নাসাল ভ্যাকসিন মানে হল, যে ভ্যাকসিন নাকের মাধ্যমে শরীরে স্প্রে করে ঢোকানো হবে।
মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে যেভাবে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ ‘ইন্ট্রামাসকুলার’ ভ্যাকসিনের তুলনায় এই নাসাল ভ্যাকসিন অনেক বেশি কার্যকরী। হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক যারা কোভ্যাক্সিন তৈরি করেছিল তারাই এই নাসাল স্প্রে ভ্যাকসিন তৈরি করছে, এবং মনে করা হচ্ছে এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস যুদ্ধের নতুন আশার আলো নিয়ে আসবে। গবেষণায় উঠে এসেছে, যে পদ্ধতিতে বর্তমানে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তার তুলনায় এই নাসাল ভ্যাকসিন অনেক বেশি উপকারী এবং কার্যকরী। নাকের মাধ্যমে সরাসরি শরীরে প্রবেশ করছে বলে অনেক তাড়াতাড়ি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়তে সাহায্য করছে এই ভ্যাকসিন। অবশ্যই সময় এখানে একটা বড় ফ্যাক্টর। কারণ, ইন্ট্রামাসকুলার ভ্যাকসিন পদ্ধতিতে যতক্ষণে ভ্যাকসিন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে তার থেকে অনেক কম সময়ে নাসাল ভ্যাকসিন কাজ করার সম্ভাবনা কারণ, নাকের মাধ্যমে এই ভ্যাকসিন প্রবেশ করছে বলে শ্বাসনালী এবং তার আশেপাশের অংশে অনেক কম সময়ে পৌঁছে যাচ্ছে এই ভ্যাকসিন। সেই কারণে অনেক দ্রুত সুরক্ষা বলয় তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন- রাজ্য পুলিশকে নিয়ে গঠিত SIT-এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারবে না সরকার, নির্দেশ হাইকোর্টের
এর পাশাপাশি আরও মনে করা হচ্ছে, এই প্রতিষেধক সরাসরি ফুসফুস, নাক, গলা-সহ শ্বাসনালীতে পৌঁছবে বলে দ্রুত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে শরীরে। কারণ এই ভ্যাকসিন নাকের মাধ্যমে প্রবেশ করে এমন জায়গায় নিশানা করে যেখানে সব থেকে বেশি ভাইরাস থাকার সম্ভাবনা থাকে। তাই অবশ্যই করোনাভাইরাস যুদ্ধে এই ভ্যাকসিন অন্য মাত্রা দেবে বলে মনে করছে গবেষক মহলের একাংশ।