কলকাতা: চোখ রাঙাচ্ছে করোনা৷ বাড়ছে সংক্রমণ৷ ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি এলাকা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ কিন্তু মহামারী এই করোনা পরিস্থিতির জেরে ঠিক কী কী করা উচিত গর্ভবতীদের? পরামর্শ দিচ্ছেন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞরা৷
গর্ভবতীদের ওপর করোনা প্রভাব: গর্ভবতী মহিলাদের করোনা আক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় বেশি, এমনটা মনে করার কোনও কারণ নেই৷ তবে গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে৷ তাই উপসর্গ তীব্র হতে পারে৷ গর্ভবতীর হৃদ রোগ থাকলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি বেশি৷ গর্ভাবস্থার সময় অনেক ওষুধ ব্যবহার করা যায় না, যা অন্যতম অন্তরায়৷ এখন পর্যন্ত প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপসর্গ থেকে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন৷ গর্ভবতী মহিলাদের মানসিক সুস্থতা যত্ন দেওয়া জরুরি৷
সংক্রমণের আশঙ্কা: মায়ের শরীর বা প্রসবের সময় মা থেকে সন্তানের মধ্যে করোনা সংক্রমণ হতে পারে যা লন্ডনের একটি ঘটনাই ঘটেছে৷ তবে বুকের দুধে কোন ভাইরাসের উপস্থিতি এখনও পাওয়া যায়নি৷ আবার করোনা সংক্রিত মা সন্তান জন্ম দিলেও শিশুর শরীরে তার প্রভাব পড়েনি৷
ভ্রূণের ওপর প্রভাব: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য মিসক্যারেজের কোনও তথ্য আপাতত উঠে আসেনি৷ ভাইরাস ভ্রূণের বেড়ে ওঠা প্রভাব ফেলে এমন কোন তথ্য মেলেনি৷ করোনা রোগে আক্রান্ত হলে প্রেগনেন্সি টার্মিনেট করতে হবে এটাও নয়৷
কী করা উচিত বা উচিত নয়: সংক্রমণ সন্দেহ থাকলে গর্ভবতীর করোনা পরীক্ষা করতে হবে৷ রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁকে একান্তে রাখা যেতে পারে৷ করোনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রবেশ এর আগের পর্যায়ের কাজ দেরি করলে চলবে না৷ আল্ট্রাসাউন্ড যন্ত্র ব্যবহারের পর জীবাণুমুক্ত করতে হবে৷ নজর রাখতে হবে অন্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের ও পজেটিভ গর্ভবতীর ক্ষেত্রে প্রসব টারশিয়ারি কেয়ার সেন্টারে করার সুপারিশ৷ স্বাভাবিক প্রসব হবে না সিজারিয়ান, তার সিদ্ধান্ত গর্ভবতীর শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের নিতে হবে৷ রক্তে শ্বেতকণিকা বাড়লে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের পরীক্ষা করাতে হবে৷
জন্মের পর সদ্যোজাতকে আইসোলেশন রুমে রাখা যেতে পারে৷ তবে বিষয়টি পরিস্থিতি অনুযায়ী বিবেচনা করেন চিকিৎসক৷ মায়ের শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে সদ্যোজাতের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে৷ তবে বিষয়টি অনুমোদন দেবেন চিকিৎসক৷ বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় প্রসূতিকে মাস্ক পরতে হবে৷ হাত ধোয়ার প্রতিটি নিয়ম মানতে হবে৷ অন্য কোনও প্রসূতি দুধ খাওয়াতে রাজি হলে ব্রেস্ট পাম্প ব্যবহার করতে হবে৷ পরে নিয়ম মেনে জীবাণুমুক্ত করতে হবে ওই পাম্পটি৷ হাসপাতলে সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের পিপি ও N95 মাস্ক ব্যবহার করতে হবে৷