৫ বছরের নীচে শিশুদের পরতে হবে না মাস্ক, হাঁপানি রোগীরা কি মাস্ক পরবেন?

৫ বছরের নীচে শিশুদের পরতে হবে না মাস্ক, হাঁপানি রোগীরা কি মাস্ক পরবেন?

নয়াদিল্লি:  ১৮ বছরের নীচে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ বলা হয়েছে, অনুর্ধ্ব ১৮দের কোভিড চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল বা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডির ব্যবহার নয়৷  উপসর্গহীন শিশুদের কোনও ওষুধেরই প্রয়োজন নেই৷ যাদের মৃদু উপসর্গ রয়েছে, তাদের প্যারাসিটামল দেওয়া যেতে পারে৷  গলার আরামের জন্য কোনও সিরাপ অথবা নুন জলে গার্গল করতে হবে৷ তবে যাদের মডারেট উপসর্গ রয়েছে, অক্সিজেনের মাত্রা ৯৪ এর নীচে নেমে গিয়েছে, তাদের প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে৷ দরকার পড়লে অক্সিজেন থেরাপি দিতে হবে৷ পাশাপাশি জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল প্রেসক্রাইব করা হয়েছে৷ একান্ত প্রয়োজন ছাড়া স্টেরয়েড কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না৷ সেই সঙ্গে বলা হয়েছে পাঁচ বছর বা তার কম বয়সীদের মাস্ক পরার প্রয়োজন নেই৷ 

আরও পড়ুন- কোভিড কেটে গেলেও ক্লান্তি কাটছে না! কী করা যায়…

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীরা মাস্ক পরতে পারে৷ তবে তারা বাবা-মায়ের নজরদারিতে সঠিক পদ্ধতিতে তা ব্যবহার করতে হবে৷ তবে ১২ উর্ধ্বদের প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য নির্ধারিত নিয়ম মেনেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে৷ বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার ভিত্তিতেই এই গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে৷ করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই এই গাইডলাইন প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷ যদিও বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বলা যায়, করোনার অন্যান্য রূপের চেয়ে ওমিক্রন কম বিপজ্জনক৷ তবে এটা অত্যন্ত সংক্রামক৷ তাই সংক্রমণ রুখতে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে৷ যার মধ্যে মাস্কের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷

এদিকে একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, হাঁপানি রোগী এবং উচ্চতর এমইএস (মাস্ক পরার সময় অন্যান্য লক্ষণ) এর মধ্যে একটি সম্পর্ক রয়েছে৷ গবেষণাটি ‘দ্য জার্নাল অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি’-তে প্রকাশিত হয়েছে৷ ৫০১ জন অ্যাজমা রোগীকে নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয়েছে৷ যাতে হাঁপানি এবং কোভিড কালে মাস্ক পরা নিয়ে সমস্যার মধ্যে সম্পর্ক বোঝা যায়৷ 

গবেষণায় অংশগ্রহণকারীরা প্রায় সকলেই ভিড়ের মাঝে মাস্ক পরার বিষয়টি মেনে চলেন৷ এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে,  ৮৪ শতাংশ মানুষই ভিড়ে মাস্ক পরে থাকতে অস্বস্তি বোধ করেন৷ ৭৫ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন, মাস্ক পরার সময় অল্প কিছু সময়ের জন্য হলেও তাঁরা শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন৷ এ কথা জানিয়েছেন গবেষকদলের অন্যতম সদস্য ড. শর্মিলি নিনহুইস৷ অন্যদিকে গবেষণায় জানা গিয়েছে, যাঁদের হাঁপানি রয়েছে, মাস্ক ছাড়া তাঁদের শ্বাসের সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি৷ গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, যাঁরা দীর্ঘক্ষণ মাস্ক পরে থাকেন, তাঁদের মধ্যে এমইএস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

six + 5 =