Aajbikel

করোনা নিয়ে খানিক স্বস্তি! তবে ওমিক্রনের BF.7-এর হাত থেকে বাঁচতে WHO-র দেখানো পথে মাস্ক পরুন

 | 
করোনা

কলকাতা: ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস৷ চিনজুড়ে মাথাচাড়া দেয় মারণ করোনা ভাইরাস৷ এর পর ধীরে ধীরে চিনের গণ্ডি ছাড়িয়ে তা গ্রাস করে গোটা বিশ্বকে৷ এর পর একের পর এক ঢেউ এসেছে, আর উজার হয়েছে শত শত পরিবার৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে সেই চিনেই ফের চোখ রাঙাতে শুরু করে কোভিড-১৯৷ দাবানলের মতো গ্রাস করে সংক্রমণ৷ সেই আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও৷ আঁচ লেগেছে ভারতের গায়েও৷ গুজরাত এবং ওডিশায় মিলেছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের হদিশ৷  

আরও পড়ুন- চিন্তা বাড়াচ্ছে কোভিডের ‘সুপার ভ্যারিয়েন্ট’, হদিশ ভারতেও, চিন ফেরত যাত্রীদের জন্য কড়া কোভিড-বিধি

চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের এই উপরূপ একজনের থেকে দ্রুত অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ একজনের থেকে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৮ জনের একসঙ্গে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। চিনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ করোনার নয়া সাব-ভ্যারেয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন৷ এর হাত থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’৷ এর পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার, নির্দিষ্ট সময় অন্তর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জনসমাবেশ বা ভিড় এড়িয়ে চলা, খোলামেলা জায়গায় থাকা, হাঁচি-কাশির সময় কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করা, জ্বর-সর্দি-কাশি হলে কয়েকদিনের জন্য ঘরবন্দি থাকার মতো নিয়মগুলি মনে চলতে বলা হয়েছে৷ 


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার যে কোনও রূপ আটকে দিতে পারে মাস্ক৷ তবে মাস্ক খোলা-পরার আগে হাত ধুয়ে নেওয়া প্রয়োজন৷ এমনভাবে মাস্ক পরুন যাতে আপনার নাক, মুখ এবং চিবুক ঢাকা থাকে৷ মাস্ক খোলার পর পরিষ্কার প্লাস্টিক ব্যাগে ফেলে দিন৷ কাপড়ের মাস্ক হলে প্রতিদিন তা ধুয়ে ফেলতে হবে৷ ভালভ যুক্ত মাস্ক ব্যবহার করা অনুচিত বলেও জানিয়েছে হু৷

 
চিনে করোনা ঢেউ আছড়ে পড়লেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির উপর তার বিশেষ প্রভাব পড়বে না বলেই আশ্বস্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ তবে করোনা নিয়ে একেবার নির্বিকার হয়ে যাওয়ার কোনও কারণ নেই বলেও জানিয়েছেন হু-র ইউরোপীয় ইউনিয়নের আধিকারিক হান্স ক্লুজ।


মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে করে হান্স ক্লুজ বলেন, “বর্তমানে চিনে কোভিডের যে ঢেউ চলছে, সেটা ইউরোপীয় অঞ্চলে অতিমারি পরিস্থিতিকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করবে না।” তবে এর জন্য ‘আত্মতুষ্টি’তে ভোগার প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

আত্মতুষ্ট হওয়ার বদলে কোভিড সতর্কতা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন হু-র ইউরোপীয় অঞ্চলের প্রধান। তাঁর কথায় বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অযৌক্তিক নয়। তবে এই সতর্কতা অবলম্বন করতে গিয়ে দেশগুলির মধ্যে যেন পারস্পরিক বৈষম্য রাখা না হয়, সেই আহ্বান জানিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত, চিন থেকে আগত যাত্রীদের উপর বিশেষ কোভিড-বিধি ইতিমধ্যেই জারি করেছে ভারত। সেই পথে হেঁটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বহু দেশ চিনের যাত্রীদের উপর কড়া কোভিডবিধি জারি করেছে। 


 

Around The Web

Trending News

You May like