নয়াদিল্লি: বিশ্বজুড়ে এখন করোনার ওমিক্রন প্রজাতি দাপট দেখাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু অধিকাংশ গবেষকরাই দাবি করেছেন যে, এই সংক্রমণ প্রাণঘাতী নয়। ডেল্টা প্রজাতিতে যতটা ভয় ছিল, ওমিক্রনে নেই। কিন্তু এই প্রজাতি নিয়েও একটা বড় ভয় থেকে যাচ্ছে, যা হল ‘লং কোভিড’। এই নিয়ে এখন নতুন করে চিন্তা বাড়তে শুরু করেছে। তবে প্রশ্ন হল, কী এই ‘লং কোভিড’?
চিকিৎসক মহলের একটা বড় অংশ জানাচ্ছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণ মৃদু বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, একবার সংক্রামিত হওয়ার অনেক পর আবার শারীরিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এক দফা সুস্থ হয়ে যাওয়ার তিন মাস পরও করোনা রোগীদের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তার মানে, করোনা সংক্রমণ প্রাথমিকভাবে মৃদু হলেও তাকে হালকাভাবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই সতর্ক করা হচ্ছে। আর কোভিড আক্রান্ত হওয়ার অনেকদিন পর যখন আবার শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে, তখন সেটাকেই বলা হচ্ছে ‘লং কোভিড’। দাবি করা হচ্ছে, এই ধরণের অসুস্থতা চলতে পারে অনেক দিন। তবে এই কোভিডের ক্ষেত্রে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।
দেখা গিয়েছে, কোভিড আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পরেও অনেক ক্ষেত্রে আগের মত স্বাদ, গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে না। সেরে ওঠার মাস তিন-চার পরও সমস্যা থেকে যাচ্ছে। অনেকের আবার স্বাদ, গন্ধ ফিরে এলেও আগের মত ১০০ শতাংশ আসছে না। এছাড়াও পিঠে ব্যথা, মাথা ব্যথার মতো সমস্যা থেকে যাচ্ছে অনেক দিন। এমনকি কাশি হলে তা সারতে সময় লাগছে অনেক মাস। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে যে, এখনই অতিমারি শেষ হওয়ার সম্ভবনা নেই। হু প্রধানের সতর্কবার্তা, করোনার অন্যান্য রূপগুলির চেয়ে ওমিক্রনের তীব্রতা খানিকটা কম হলেও, একে মৃদু বলে ভাবা ভুল হবে৷ কারণ, ওমিক্রনে আক্রান্তদেরও হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে, মৃত্যুও ঘটছে। তাই আপাতত এই বিষয় সকলকে সতর্ক হতেই হবে।