নয়াদিল্লি: ভারত বায়োটেকের করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন, কোভ্যাক্সিন নিয়ে বহুদিন ধরেই বিতর্ক ছিল। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা দাবি করেছিল যে তাদের ভ্যাকসিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে। কিন্তু তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের নিয়ে অনেক বেশি সমস্যা হয়েছিল তাই আন্তর্জাতিক মহলের সেইভাবে স্বীকৃতি পায়নি এই ভ্যাকসিন। অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিচ্ছিল না ভারত বায়োটেক নির্মিত এই ভ্যাকসিনকে। কিন্তু সম্প্রতি তারাও এই ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দিয়েছে এবং এখন আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতি পেল কোভ্যাক্সিন।
আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন ‘দ্য ল্যানসেট’ সম্প্রতি এই ভ্যাকসিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং তারা ভারত বায়োটেকের দাবিকেই সম্মতি জানিয়েছে। তাদের গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে যে, এই ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার দু সপ্তাহ পরে দেহে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি তা ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকর। আন্তর্জাতিক এই স্বীকৃতি পাওয়ার পর এখন যে এই ভ্যাকসিন নিয়ে আর কোনও রকম বিতর্ক থাকল না তা বলাই বাহুল্য।
এদিকে, সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারে। একাধিক ভ্যাকসিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পেয়ে গেলেও এতদিন পর্যন্ত পাচ্ছিল না ভারতের তৈরি করোনাভাইরাস টিকা, কোভ্যাক্সিন। বিগত কয়েক মাস ধরেই টিকার ছাড়পত্র পাওয়ার ব্যাপারে কাজ চালিয়েছে প্রস্তুতকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত এই টিকাকে ছাড়পত্র দিচ্ছিল না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার কাছ থেকে আরও কিছু ব্যাপারে উত্তর চেয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সেই তথ্য পরীক্ষা করে দেখেই এই ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এখন এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা আরো জানিয়েছে, এই ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কারো শরীরে কোনও ক্ষতিকারক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া ঘটেনি এবং কেউ মারা যায়নি।