বায়ু দূষণের বিষ থেকে রক্ষা পেতে আজই পাতে রাখুন এই পদ

কলকাতা: মারাত্মক দূষণের কবলে শহর কলকাতা৷ বাতাসে মাত্রাছাড়া বিপজ্জনক ধূলিকনা৷ কুড়ি বছরের রেকর্ড ভেঙে ময়দান ও উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে দূষণের মাত্রা ৪০০-রও বেশি৷ বছরের শুরুতেই অশনি সংকেত দিয়েছেন পরিবেশবিদরা৷ কিন্তু, এই বিষ থেকে বাঁচবেন কীভাবে? ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনভারমেন্ট পাবলিক হেলথ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, নিয়মিত মাছ খেলে অ্যাজমার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত

বায়ু দূষণের বিষ থেকে রক্ষা পেতে আজই পাতে রাখুন এই পদ

কলকাতা: মারাত্মক দূষণের কবলে শহর কলকাতা৷ বাতাসে মাত্রাছাড়া বিপজ্জনক ধূলিকনা৷ কুড়ি বছরের রেকর্ড ভেঙে ময়দান ও উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে দূষণের মাত্রা ৪০০-রও বেশি৷ বছরের শুরুতেই অশনি সংকেত দিয়েছেন পরিবেশবিদরা৷ কিন্তু, এই বিষ থেকে বাঁচবেন কীভাবে?

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনভারমেন্ট পাবলিক হেলথ প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে, নিয়মিত মাছ খেলে অ্যাজমার ঝুঁকি ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। কারণ, ভেজিটেবেল অয়েলে থাকা N6 অ্যাজমার ঝুঁকি ৬৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়৷ এছাড়াও মাছে রয়েছে এমন একাধিক উপাদন, যা বায়ুদূষণকে টেক্কা দিতে সক্ষম৷ মোট ৬৪২ জন মানুষের উপর এই গবেষণা চালানো হয়েছে। সারা বিশ্বে ৩৩৪ মিলিয়ন মানুষ অ্যাজমার শিকার। প্রতিবছর বহু মানুষ এই অসুখে মারা যান। তাই আরও বেশি করে ফিশ অয়েল খেতে বলছেন গবেষকরা৷

কলকাতার এই ক্রমাগত বাড়তে থাকা দূষণ চিন্তায় ফেলেছে বিশেষজ্ঞদের৷ তাঁদের বক্তব্য, এই দূষণের ফলে গত কয়েকদিনে শহরে শ্বাসকষ্টজনিত রোগের পরিমাণ বেড়েছে। সবথেকে বেশি ক্ষতি হচ্ছে শিশুদের। এরকম অবস্থা চলতে থাকলে নতুন প্রজন্ম ছোটবেলা থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগতে পারে বলে ধারণা চিকিৎসকদের।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মেট্রোপলিটন শহর হওয়ায় কলকাতার দূষণ সূচক ৩০০-৩৯৯ এর মধ্যে ঘোরাফেরা করাটা স্বাভাবিক। কিন্তু যত তা ৪০০’র দিকে এগোবে বা ৪০০ অতিক্রম করবে, তত অবস্থা খারাপ হবে। এখন থেকেই যদি এই সমস্যা দূর করার কোনও উপায় না বের করা যায়, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের দূষণের রাজধানীর তকমাটা কলকাতার মাথাতেই উঠবে, সতর্কবার্তা আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের।

দূষিত বাতাসের জন্য ২০১৬ সালে পাঁচবছরের নীচে ৬০ হাজার ৯৮৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই দেশে৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, এই বয়সের শিশুদের মৃত্যু তালিকায় ভারতই সবার আগে। নাইজেরিয়া পাঁচবছরের কম শিশুদের মৃত্যু হয়েছে ৪৭ হাজার ৬৭৪টি, পাকিস্তানে ২১ হাজার ১৩৬টি, কঙ্গোয় ১২ হাজার ৮৯০ আর চিনে ৬ হাজার ৬৫৪টি। ভারতের ছেলেদের থেকে মেয়েদের মৃত্যুর হার বেশি। ২০১৬ সালে ৩২ হাজার মেয়ে আর ২৮ হাজার ছেলে দূষিত বাতাসের জন্য মারা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 4 =