বুস্টার ডোজ ছাড়াই ‘ডেল্টা’ রুখে দেবে এই টিকা!

বুস্টার ডোজ ছাড়াই ‘ডেল্টা’ রুখে দেবে এই টিকা!

কলকাতা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গবেষকদের আরো চিন্তা বাড়িয়ে দিয়েছে ডেল্টা প্রজাতি। এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ডেল্টা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই প্রজাতি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত। যদিও নতুন এক গবেষণায় দাবি করছে, একটি টিকা রয়েছে যেটি বুস্টার ডোজ ছাড়াই এই প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম। সেটি হল জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন। এমনই দাবি করছে দক্ষিণ আফ্রিকায় হওয়া একটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের গবেষণা।

ওই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে বলছে, এই ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম কিন্তু তার জন্য কোনো রকম বুস্টার ডোজ লাগবে না। অর্থাৎ যদি কেউ এই ব্যক্তির নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি বিটা এবং ডেল্টা প্রজাতিকে রুখে দিতে পারবেন। আক্রান্ত হলেও বাড়াবাড়ি রকমের সংক্রমণের ভয় থাকবে না। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই জনসন এন্ড জনসন করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনকে ভারতে আপৎকালীন ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিন বাজারে আসার প্রথম থেকেই ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল কারণ রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দেখা দিয়েছিল এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর। সেই প্রেক্ষিতে মাঝে এই ভ্যাকসিন ব্যবহার বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এই দাবি করছে তা এখনো কোনো আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান গবেষণা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়নি। তাই এই প্রেক্ষিতে চূড়ান্তভাবে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। 

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় অভিষেককে ‘খুনে’র চেষ্টা করেছে BJP, ডিজিপি-কে চিঠি তৃণমূলের

উল্লেখ্য, এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নাম ‘সিসোঙ্কে’। প্রায় ৫ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীকে জনসন এন্ড জনসনের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। দেখা যায়, এই টিকা ডেল্টার বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ কার্যকরী। কিছুদিন আগেই ‘হু’ জানিয়েছিল, গোটা বিশ্ব জুড়ে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রজাতিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৩৫ দেশ করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতির কবলে। সবথেকে সংক্রামক প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এটি। ভারতে এই প্রজাতির জন্যই করোনাভাইরাস তৃতীয় ঢেউ আসবে বলে ইতিমধ্যেই সংকেত বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগেই গোটা বিশ্ব জুড়ে কার্যত দাপট দেখাচ্ছে করোনাভাইরাস ডেল্টা প্রজাতি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরো জানিয়েছে যে, ডেল্টা প্রজাতি ছাড়াও অন্যান্য করোনাভাইরাস প্রজাতি ইতিমধ্যে পৃথিবীর একাধিক দেশ সংক্রামিত করেছেন। তার মধ্যে রয়েছে আলফা প্রজাতি যা ১৮২ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। ওদিকে গামা প্রজাতি ছড়িয়েছে ৮১ দেশে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *