নয়াদিল্লি: করোনা পরীক্ষায় প্রথমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)এর ছাড়পত্র পেল দেশীয় টেস্টিং কিট। দিল্লি ভিত্তিক সংস্থা অস্কার মেডিকেয়ারের তৈরি এই সহজ, দ্রুত কোভিড -১৯ অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটকে অনুমোদন দিল আইসিএমআর। তবে শুধু করোনা টেস্ট কিট নয় বহুদিন ধরেই সংস্থার তিনটি কারখানায় এইচআইভি, ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গু সনাক্তকরণের জন্য এইধরণের পিওসি ডায়াগনস্টিক কিট তৈরি করে আসছে অস্কার মেডিকেয়ার।
ভারতে বর্তমানে করোনা পরীক্ষার জন্য স্ট্যান্ডার্ড কিউ কোভিড-১৯ সনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যা সাধারণত আরটি-পিসিআর টেস্টের সমন্বয়ে দ্রুত অ্যান্টিজেন সনাক্তকরণ পরীক্ষা পিওসি বা পয়েন্ট অফ কেয়ার পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। স্ট্যান্ডার্ড কিউ কোভিড-১৯ এজি পরীক্ষায় কোনো ব্যক্তির নাসোফারিনেক্সে বা মুখের ভিতর নাকের নীচের অংশে সার্সকোভ-২ এর উপস্থিতি সনাক্ত করতে নাসোফেরেঞ্জিয়াল সোয়াব বা অনুনাসিক লালারস ব্যবহার করা হয় এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল জানা যায়। সরবরাহ করতে পারে। করোনা ভাইরাস সনাক্তকরণের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় আরটি-পিসিআর টেস্ট । আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় ভাইরাসের জিনগত উপাদানগুলি সনাক্ত করতে পলিমারেজ চেইন বিক্রিয়া নামক একটি ল্যাব পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় এবং ফলাফলের জন্য কয়েক ঘন্টা বা এমনকি তারও বেশি সময় লাগে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবর অনুসারে, অস্কার মেডিকেয়ারের প্রধান নির্বাহী আনন্দ শেখরির দাবি, সংস্থার র্্যাপিড টেস্ট কিটটি ২০ মিনিটের মধ্যে ফলাফল সরবরাহ করতে পারে। নতুন এই কিটের দামও খুব বেশি নয়। একটি কিটের দাম পড়বে প্রায় ২০০ টাকা।
তিনি আরও জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে দু-লক্ষ টেস্ট কিট তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে অস্কার মেডিকেয়ারের। প্রতিদিন পাঁচ লক্ষ টেস্ট কিট তৈরির ক্ষমতা রাখে সংস্থাটি। ইতিমধ্যেই জন্য দেশজুড়ে টেস্ট কিট সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে এই সংস্থা। অস্কার মেডিকেয়ার জানিয়েছে, তাদের টেস্ট কিট তৈরির কাঁচামাল, টেস্ট কিটে ব্যবহৃত করোনা ফিউশন অ্যান্টিজেন তৈরি করছে 'ধিতি লাইফ সায়েন্সেস' নামে একটি গ্রুপ সংস্থা।