জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে ভারত

নয়াদিল্লি: জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে৷ সবথেকে বড় কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং৷ গরম হচ্ছে হাওয়া একের পর এক বড় বড় ছড়াচ্ছে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে৷ অসময় ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাত, শীতলতম দেশগুলি এমনকি দুই মেরুতে অস্বাভাবিক ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মানব সভ্যতা ধ্বংসের প্রহর গুনছে৷ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত

জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত দেশের মধ্যে পঞ্চম স্থানে ভারত

নয়াদিল্লি: জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে বিশ্বের উন্নত দেশগুলিতে৷ সবথেকে বড় কারণ বিশ্ব উষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং৷ গরম হচ্ছে হাওয়া একের পর এক বড় বড় ছড়াচ্ছে হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে৷ অসময় ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাত, শীতলতম দেশগুলি এমনকি দুই মেরুতে অস্বাভাবিক ভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে মানব সভ্যতা ধ্বংসের প্রহর গুনছে৷ আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় পঞ্চমস্থানে রয়েছে ভারত৷

বিশ্ব নেতারা যখন মাদ্রিদে (২-১৩ ডিসেম্বর) সিওপি২৫- এর বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনা করেছেন,তখন জার্মানওয়াচ নামে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘দ্য গ্লোবাল ক্লাইমেট রিস্ক ইনডেক্স ২০২০’ রিপোর্টে উঠে এলো ভয়ঙ্কর তথ্য৷ মোট ১৮১টি দেশে তারা যে সমীক্ষা চালিয়েছে এরমধ্যে ভারত পঞ্চম স্থানে৷ রিপোর্ট অনুসারে আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ২০১৭ সালে যেখানে ভারতের স্থান ছিল ১৪ তে সেখানে ২০১৮ সালে উঠে এসেছে ৫-এ৷

শুধু তাই নয় আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সে বছর ভারতে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে এবং দেশকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ বন্যা এবং ভূমিধসের ফলে দেশে হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে৷ জার্মানওয়াচের জলবায়ু সংক্রান্ত অর্থ এবং বিনিয়োগের বিষয়ক উপদেষ্টা ডেভিড একস্টেইন জানিয়েছেন খুব বেশি না হলেও অত্যধিক গরমের কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ তবে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে৷

প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে যুক্ত চরম আবহাওয়া কেবল মায়ানমার এবং হাইতির মতো দরিদ্র দেশগুলিকেই প্রভাবিত করছে না, বিশ্বের কিছু ধনী দেশকেও প্রভাবিত করছে৷ এরমধ্যে বিগত ছয় বছরের হিসেবে ২০১৮ সালে জাপান সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত৷ তার পরের চারটি স্থানে রয়েছে ফিলিপিন্স, জার্মানি ও মাদাগাসকার ও ভারত৷ এই তালিকায় কুড়ির মধ্যে আছে যথাক্রমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১২-তে, ভিয়েতনাম ৬-এ, বাংলাদেশ ৭-এ এবং ফ্রান্স ১৫-এ৷

জার্মানওয়াচের প্রতিবেদনে সিওপি২৫-এ আলোচনার গুরুত্বের দিকেও ইঙ্গিত করা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিশ্বজুড়ে স্থায়ীভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও সামরিক ক্ষয়ক্ষতি থেকে শুরু করে, জমি, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য এখনও জাতিসংঘের জলবায়ু অর্থের কোনও নির্দিষ্ট ব্যবস্থা নেই৷ এখনও পর্যন্ত শিল্পোন্নত দেশগুলি এবিষয়ে নিয়ে আলোচনা করতেও অসম্মতি জানাচ্ছে৷

তবে সিওপি২৫ -এ এই প্রথমবার জলবায়ু সংক্রান্ত ক্ষতি এবং অন্যান্য ক্ষতির জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে৷ দরিদ্রতম এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলির জন্য, এই জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ সুতরাং যে রাজ্যগুলিকে প্রকৃত অর্থে সহায়তার অভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের সমর্থন করার জন্য কোনও চুক্তিতে সম্মতি জানাতে হবে বা কমপক্ষে এর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করতে হবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − seven =