নয়াদিল্লি: মোটামুটি এক বছরের মধ্যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন বাজারে চলে এসেছে এবং ইতিমধ্যে ভারতে প্রায় ৯০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন। করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের মতোই এবার ভারতের লক্ষ্য যক্ষ্মার ভ্যাকসিন বাজারে আনা। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে দেশ। জানা গিয়েছে দুটি টিকা নিয়ে কাজ চলছে এবং মূল লক্ষ্য হল ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতকে যক্ষ্মা মুক্ত করা। ইতিমধ্যেই দুটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে বলে খবর। এই ট্রায়াল সফল হলেই খুব তাড়াতাড়ি বাজারে চলে আসবে এই ভ্যাকসিন এবং অবশ্য হবে বিশ্ব অনেক উপকৃত হবে।
যে দুটি টিকা নিয়ে কাজ চলছে তার মধ্যে একটি হল দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইমিউভ্যাক। অন্যটি জার্মানির তৈরি ভিপিএম১০০২। এই দু’টি টিকারই তৃতীয় পর্বের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ চালাচ্ছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। আপাতত গোটা বিশ্বে যক্ষ্মার টিকা বলতে ব্যাসিলাস ক্যালমেট-গুয়েরিন বা বিসিজি। এবার এই দুটি টিকা সফল হলে গোটা বিশ্ব এক নতুন দিশা পাবে বলেই মনে করছে বৈজ্ঞানিক মহল। জানা গিয়েছে, আইসিএমআর আপাতত ১২ হাজার জনের ওপর এই দুটি টিকার প্রয়োগমূলক পরীক্ষা চালাচ্ছে। চূড়ান্ত ছাড়পত্র এবং বাণিজ্যিক ভাবে প্রয়োগের আগে তিন বছর ধরে এই পরীক্ষার ফলাফলের উপর নজর রাখবে আইসিএমআর বলে জানা যাচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, বিশ্বে ১ কোটি যক্ষ্মা আক্রান্তের মধ্যে ভারতে আক্রান্ত হয় ২৬ লক্ষ ৪০ হাজার জন। যাদের মধ্যে পুরুষ ৫৫ শতাংশ এবং মহিলা ৩৫ শতাংশ। শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা প্রায় ৩২ শতাংশ। এদিকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বিশ্বে প্রায় ১৪ লক্ষ এবং ভারতে প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ।