নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের কার্যত নাজেহাল গোটা ভারতবর্ষ। সংক্রমণের জেরে মৃত্যু একদিকে, আর অন্যদিকে রয়েছে অক্সিজেনের আকালে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যু। এর পাশাপাশি ভ্যাকসিন এবং পর্যাপ্ত ওষুধের আকাল রয়েছে দেশে। সব মিলিয়ে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউয়ের শিখরে পৌঁছেছে দেশ। যদিও ‘কেমব্রিজ জাজ বিজনেস স্কুল’ এবং ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চের’ গবেষকদের দাবি, এবার থেকে ভারতে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার কমতে শুরু করবে। অবশ্যই এই তথ্য সামনে আসার পর আশার আলো দেখছে দেশবাসী।
গবেষকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে ভারতে করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ শিখর ছুঁয়ে ফেলেছে। তাই আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সংক্রমণের মাত্রা কমতে শুরু করবে গোটা দেশজুড়ে। যদিও সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির বদল ঘটলেও বেশ কয়েকটি রাজ্যের সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার থাকবে ঊর্ধ্বমুখী, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে তাদের গবেষণাপত্রে। অনুমান করা হচ্ছে, ভারতের একাধিক রাজ্য যেমন অসম, হিমাচল প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে আগামী দুই সপ্তাহেও সংক্রমণের হার থাকবে ঊর্ধ্বমুখী। এর পাশাপাশি মৃত্যুর হারও কার্যত একই থাকবে বা বাড়তে পারে। তবে গোটা দেশের নিরিখে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার কমবে বলেই দাবি করা হয়েছে। মৃত্যুর হার কেন বেশি থাকবে সেই ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে, ভারতে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন, বেড এবং ওষুধের অভাব রয়েছে। সেই ঘাটতি মিটিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এই মুহূর্তে কার্যত অসম্ভব। তাই স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যুর হার বাড়বে দেশে।
অন্যদিকে দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর ভারতবর্ষে যে করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসবে, সেই ব্যাপারেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে বিজ্ঞান মহলের তরফ থেকে। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করে দিয়েছে। যদিও করোনাভাইরাস দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ভারত। তাই অবশ্য ভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা প্রবল। তবে মনে করা হচ্ছে, অধিকাংশ দেশবাসীকে যদি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় তাহলে তৃতীয় ঢেউ থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পাওয়া যাবে এবং অনেক মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে।