সর্দি-জ্বর হলেই অযথা অ্যান্টিবায়োটিক নয়! বার্তা দিল IMA

নয়াদিল্লি: বছরের এই সময়টা মূলত শরীর খারাপের। নভেম্বরের শেষ থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত এই সময়টায় অনেকেই রোগে ভোগেন। সর্দি, জ্বর, হাঁচি, কাশি লেগেই থাকে। কখনও আবার কিছু ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়। ঠিক যেমন অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে এখন। তাই এই সময়টা স্বাভাবিকভাবে ওষুধ খাওয়ার প্রবণতাও বেড়ে যায় মানুষের মধ্যে। বেশি করে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করে সকলে, যা বড় ভুল বলে স্পষ্ট করে দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। অযথা যাতে কেউ মুঠো মুঠো এই ওষুধ না খান তার জন্য বিবৃতি দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ত্রিপুরা-মেঘালয়ে, হয়েছে মৃত্যুও! কাঠগড়ায় বিজেপি
আইএমএ বলছে, প্রতি বছর এই সময়ে সাধারণ সদি-জ্বর হয়েই থাকে। হাঁচি-কাশির মধ্যে দিয়েই দিনযাপন হয়। এক্ষেত্রে জ্বর ৩-৪ দিনের মধ্যে চলে গেলেও কাশি মূলত তিন থেকে সাড়ে তিন সপ্তাহ থাকে। তাই বেশি আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানাচ্ছে আইএমএ। এই কারণেই মুড়ি-মুড়কির মতো অ্যান্টিবায়োটিক যাতে কেউ না খান তাই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রোগীরা নিজেদের মতো করে তো খাবেনই না, চিকিৎসকরাও যেন অ্যান্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব না করেন সেই নির্দেশও দেওয়া হয়েছে তাদের তরফে। কিন্তু কেন এমন নির্দেশ এল হঠাৎ?
বিষয় হল, বেশি অ্যান্টিবায়োটিক খেলে জীবাণুরা তার বিরুদ্ধেই ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে উঠবে। পরিস্থিতি পরে এমন হবে যে সংক্রমণ বেশি মাত্রায় হলে অ্যান্টিবায়োটিক কাজই করবে না ফলে সমস্যা বাড়বে। সামান্য অসুখ হলেও তা ভয়ানক রূপ নিয়ে নেবে তখন। এই প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিচ্ছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। তাদের বক্তব্য, এই সময় অধিকাংশ ক্ষেত্রে পঞ্চাশোর্ধ্ব কিংবা পনেরো বছরের নীচের মানুষদের এই ধরনের সংক্রমণ লক্ষ করা যায়। তাই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সাধারণ, উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসার।